রাস্তায় দুধ ঢেলে রংপুরের খামারিদের প্রতিবাদ
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: সরকারি বেসরকারি ক্রয়কেন্দ্র এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় রংপুরে খামারিরা প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ উৎপাদন করেও তা বিপণন করতে পারছেন না। অনেক সময় উৎপাদিত দুধ ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে করে একদিকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে খামার বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছে।অন্যদিকে ভেস্তে যেতে বসেছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। খামারিদের দাবি, অবিলম্বে ক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ কিনে এ সমস্যা দুর করা।
উৎপাদিত দুধ মহাসড়কে ফেলে খামারিরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে গরুর খামার গড়ে তুলেছিলেন তারা। কিন্তু ক্রয় কেন্দ্রের অভাবে সেই দুধ বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে এখন খামারিরা। তাদের চোখে মুখে শুধুই হতাশার প্রতিচ্ছবি। আর এতে ভেস্তে যেতে বসেছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পও।
খামারিরা জানান, স্থায়ীভাবে সরকারী-বেসরকারি কোন ক্রয় কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় এবং দুধ সংরক্ষণ করতে না পারায় বাধ্য হয়ে কমদামে তারা এই দুধ তুলে দিচ্ছেন দালাল ফড়িয়াদের হাতে। খামারিরা জানান, সরকারি ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় আমরা লাভের মুখ দেখছি না। দুধের ন্যায্যমূল্য থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
ক্রয়কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা জানান, ব্র্যাক, প্রাণ, মিল্কভিটা, রংপুর ডেইরিসহ যে সব কোম্পানি দুধ কিনছেন তাদের চাহিদা থেকে উৎপাদন বেশি হওয়ায় তারা বাড়তি দুধ কিনতে পারছেন না। তবে এ কথা মানতে নারাজ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমিতির নেতারা। এ বিষয়ে আরডি মিল্কের ফার্ম অ্যান্ড মিল্ক ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা ডা. মো: ফেরদৌস হাসান বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন করছি সে পরিমাণ দুধ ক্রেতাদের দিতে পারছি না।’
দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবলু জানান, ‘বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুঁড়ো দুধ আমদানির ফলে দেশি খামারিরা চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।’এদিকে খামারিদের দুধ বিক্রির বিষয় নিয়ে হতাশার কথা স্বীকার করে আশার বাণীও শোনালেন জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খামারিরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সে লক্ষ্যে সরকারিভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।’ রংপুর জেলায় ছোট বড় মিলে মোট ১ হাজার ৭শ’ দুগ্ধ খামার রয়েছে। আর প্রতিদিন দুধ উৎপাদন হয় ৩ লাখ লিটার ।