‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত’
বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের মানুষকে হত্যা করে এবং দেশের বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে শূন্য করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত। কিন্তু দেশবাসির দোয়া এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে তিনি বার বার ষড়যন্ত্রকারীদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে একের পর এক নেতাদের হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
আজ শনিবার গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন শাখার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভা শেষে রাষ্টনায়ক শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন । এর আগে সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয়,মহানগর ও মহানগর অন্তভুক্ত সকল ইউনিট সমুহের নেতৃবৃন্দ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৩৬ বছরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ইতিহাসে জেল-জুলুম ও হত্যাপ্রচেষ্টা মোকাবিলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। এই সময়কালে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিকুলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয় ২০০৭ সালে গ্রেফতারের পর। এবার তাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়।
খালেদা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ শূন্য করা যাবে। তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন-এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস ছাত্তার মাসুদ,আতাউর রহমান, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদকম-লীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যাম কুমার রায়, রবিউল আলম, তাজউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, জোবায়েদুল হক রাসেল, কেন্দ্রীয় নেতা রওশন জামির রানা, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আলহাজ্ব মাঈনুল হোসেন খাঁন নিখিল, সহসভাপতি আবু জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল উদ্দিন আহমেদ, সিদ্দিক বিশ্বাস,শাহাদাত হোসেন সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, মোরসালিন আহমেদ, হারুন অর রশীদ,যুগ্ম সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, মাকসুদুর রহমান, দফতর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মার্শীদ শুভ প্রমূখ।