• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রদ্রোহীতা পল্লী বিদ্যুতে-৬ পবিস নেতা রিমান্ডে


প্রকাশিত: ১১:৩৭ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২ বার

 

কোর্ট রিপোর্টার : বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী পবিস নেতা/কর্মকর্তা/কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এই চক্রে ইন্ধন জুগিয়ে আসছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র। যারা বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদতে নানান অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছিল। এরই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার অভিযোগে পাকড়াও করা হয় ৬ কর্মকর্তাকে।

এনিয়ে মামলা দায়ের হলে শুক্রবার তাদের রিমান্ডে নেয় খিলগাঁও থানা পুলিশ। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় পবিস নেতারা এসব কর্মকান্ড করেছেন।। তাদের এ সকল কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি করা হয়েছে। এদের কর্মকান্ডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা তথা জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়। যা পবিস নেতাদের দেশদ্রোহিতার শামিল।

পুলিশ জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ছয় কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহসহ সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ছয় কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অপর পাঁচজন আরেক মামলার আসামি।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর আশিকুর রহমান দেওয়ান। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন।মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা/কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদতে নানান অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত আছে।

তাদের এ ধরণের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার শামিল। তাদের এ সকল কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা তথা জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যা দেশদ্রোহিতার শামিল।