রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যায় শিবিরের গোপন নীল নক্সা-
রাবি (রাজশাহী) সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইসলামি ছাত্র শিবিরের গোপন নীল নক্সার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে হাফিজুর রহমান নামে এক শিবির নেতাকে পাকরাও করেছে গোয়েন্দারা। গ্রেফতারকৃত শিবির নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
শনিবার রাত আড়াই টার দিকে নগরীর ছোট বোনগ্রাম এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। গতকাল রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জাহিদুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আটক হাফিজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে রাজশাহী মহানগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা শিবিরের সেক্রেটারি। তাকে মহানগর ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এরআগে আরএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার ও হত্যার ঘটনার মনিটরিং টিমের প্রধান তমিজউদ্দিন সরদার একজন যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তার পরিচয় জানাননি।
রবিবার সকাল ৯টায় উপাচার্যের বাসভবনে হত্যার ঘটনার সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য গঠিত ‘মনিটরিং টিম’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আধা ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করে। ওই বৈঠক শেষে বেরিয়ে আরএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার ও হত্যার ঘটনার মনিটরিং টিমের প্রধান তমিজউদ্দিন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনাকে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে হত্যায় জড়িত সন্দেহে নগরীতে অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মামলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অধিকতর ভালভাবে তদন্তের জন্য তা এরই মধ্যে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।দ্রুতই হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর শালাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে একটু দূরে অধ্যাপক রেজাউল কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তার ঘাড়ে তিনটি বড় কোপের আঘাত দেখা যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগামারার দরগামারিয়ায়। তিনি কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। হত্যার ধরণ দেখে পুলিশ ধারণা করছে, জঙ্গি সংগঠন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। এ ঘটনায় বিকালে নিহত শিকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।