• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাফিকে বাঁচাতে মরিয়া মমতাময়ী-


প্রকাশিত: ৮:০৭ পিএম, ৮ এপ্রিল ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩২৪ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি (১৮) কে এবার সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী তাকে বাঁচাতে চান। আর সেলক্ষ্যেই কাজ করছেন ঢাকার বার্ন ইউনিট। তারা জাতিরকন্ঠ কে বলেছেন, ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে দগ্ধ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার চিকিৎসার সব কাগজপত্র নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জাতিরকন্ঠ কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এত ক্রিটিক্যাল রোগীকে তারা নেয় না। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সেখানে নেওয়া হবে। এর আগে সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া রাফিকে দেখতে আসেন। এ সময় রাফিকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার বিষয়টি চিকিৎসকদের নিশ্চিত করেন তিনি।

ওদিকে রাফির ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, গত ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে রাফির শ্লীলতাহানি করেন। রাফি পরিবারকে জানালে তার মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।অধ্যক্ষ এখনও আটক আছেন।নোমানের অভিযোগ, অধ্যক্ষকে আটকের পর থেকে তার লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে শনিবার সকালে রাফি ওই মাদ্রাসাকেন্দ্রে আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যান।

ফেনীতে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আনার পরও কান্না থামছিল না স্বজনদের। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা না তোলায় এই কিশোরীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে তাদের অভিযোগ।ফেনীতে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আনার পরও কান্না থামছিল না স্বজনদের। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা না তোলায় এই কিশোরীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে তাদের অভিযোগ।

অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর রাফির বরাতে নোমান বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে রাফি খবর পায় তার এক বান্ধবীকে ছাদে মারধর করা হচ্ছে। রাফি দৌড়ে ছাদে গেলে মাদ্রাসার চার শিক্ষার্থী তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়।রাফি অস্বীকার করলে তারা তার গায়ে কেরোসিন ঠেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাফি চিৎকার করলে পুলিশ ও অন্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।রাফিকে পরিকল্পিতভাবে ছাদে নেওয়া হয়েছে বলে নোমানের অভিযোগ।অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফেনী সদর হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

পরে ফেনী থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান ফেনী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবু তাহের ভূঁইয়া।পরিদর্শক কামাল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখনও আটক রয়েছেন।গত কয়েক দিন ধরে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অধ্যক্ষের শাস্তি চেয়ে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা এবং তার পাল্টায় অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজন একাধিকবার মানববন্ধন করেছে।