• বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

রানে রানে টান দিয়া ৩টা পুলিশ মাইরা ফালাইতাম-কাদের সিদ্দিকী


প্রকাশিত: ৯:১৪ পিএম, ২ ডিসেম্বর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

 

ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে kaderযারা মিছিল করে বিক্ষোভ করে তারা পুলিশের পায়ের নিচেই থাকে। পুলিশের বাড়িই তাদের খেতে হয়। এই দেশটা বড় পুলিশি দেশ হয়ে গেছে। এখানে কোনো বিরোধী দল নেই।

ফুলবাড়ীয়া কলেজে শিক্ষক নিহতের ঘটনা উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘আমার শিক্ষক মাইরা ফেলাইছে। আমি যদি এই কলেজের ছাত্র হইতাম, তাইলে রানে রানে টান দিয়া তিনটা পুলিশ মাইরা ফালাইতাম। ওই যে কৃষ্ণ, কংসরে রানে রানে টাইন্যা ফাইর‍্যা ফেলাইছিল, ওই রকম এই পর্যন্ত ফাড়তাম। কিন্তু আমি এইখানে মারামারি করতে আসি নাই। হাসিনা-খালেদা পারুক, না পারুক আমি দেশে শান্তি চাই’, যোগ করেন কাদের সিদ্দিকী।

আজ শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ীয়া কলেজ মাঠে এক সভায় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। এ সময় সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কাদের সিদ্দিকী ফুলবাড়ীয়া কলেজ সরকারীকরণের দাবির সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সঙ্গে এই কলেজটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জড়িত। এত খামখেয়ালি চলে না।’

এ সময় কাদের সিদ্দিকী স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন সম্পর্কে বলেন, ‘রেকর্ড আছে, মোসলেম উদ্দিন ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এমপি হইছিল। মুক্তিযুদ্ধে যায় নাই। এইখানে আছিল। আমি ওরে ধরবার জন্য অন্তত ১০ বার লোক পাঠাইছিলাম। তার বিচার হতে পারে না?’

এ সময় কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘হাসিনা বোন আপনাকেও বলি, আপনে আর বাইড়েন না। আপনারে মারার জন্য ওই তেলের পাইপ খুলে থুইছিল প্লেনের। আপনি যাদের নিয়ে নাচেন, এই রকম নাইচেন না। যারা আপনের বাপেরে মারছে, তারা কিন্তু আপনেরে ছাড়বে না।

সাবধান হন, মানুষের মন জয় করেন। পুলিশের এত বাড় বাড়ছে কেন জানেন, আপনে ভোট ছাড়া নেতা হইছেন। পুলিশ সব সময় কয়, সরকার বানাইছি আমরা, সরকার আমগোর কী করবে? কালিহাতীতে মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করার সময়েও বলে। এখানে আমি শুনে অবাক হলাম, এই কলেজের ছাত্রীদের তাদেরও বলে মারব।’

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক বলেন, ‘জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীদের বিচার হয়েছে, রাজাকার মোসলেম উদ্দিনের বিচার নয় কেন?’

ফুলবাড়ীয়া কলেজ সরকারীকরণের দাবিতে গত রোববার দুপুরে কলেজের ভেতরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় দুজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে একজন ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এবং অন্যজন স্থানীয় মাছ বিক্রেতা সফর আলী।

ঘটনার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনার পর ফুলবাড়ীয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। ২৯ নভেম্বর রাতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে হতাহতের ঘটনায় পুলিশের তিনটি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ও জেলা প্রশাসকের একটিসহ ছয়টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।গত বুধবার দুপুরে জেলা সার্কিট হাউসে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক সমঝোতা বৈঠকের পর শিক্ষক নেতারা আন্দোলন এক মাসের জন্য স্থগিত করেন।