রাণী’র মন জয় করলো রোহিঙ্গারা
বিশেষ প্রতিনিধি : জর্ডানের রানীর মন জয় করলো রোহিঙ্গারা। জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে সুদূর জর্ডান থেকে ছুটে এসেছেন রাণী রানিয়া আল আব্দুল্লাহ। সোমবার বাংলাদেশে এসেই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান রাণী রানিয়া। ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে সবকিছু হারিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কাছে শোনেন মিয়ানমারের বর্বরতার কথা।
এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের স্কুল পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গা শিশুদের খোঁজখবর নেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে উখিয়ার কুতুপালংয়ে আইওএম’র অস্থায়ী হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) বোর্ড সদস্য রাণী রানিয়া।
এসময় কঠোরভাবে রোহিঙ্গা নির্যাতনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জাতিকে নিধনের জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের জন্মভূমি ও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। বিশ্বের ইতিহাসে এই জাতি নিধন বর্বরতম।বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর এটি কোন দেশের ফার্স্টলেডির দ্বিতীয় সফর। এর আগে এসেছিলেন তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনে এরদোয়ান।
রাণী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জাস্টিস অব ল’ প্রতিষ্ঠা হলেও মিয়ানমার কোনো কিছুতেই তা মানছে না। মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধ ও তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাধ্য করতে হবে।‘কেবল মানবিক কারণে নয়, ন্যায় বিচারের স্বার্থেই রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এখানে ৯৫ ভাগ রোহিঙ্গা মৌলিক চাহিদার সংকটে রয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাণী বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানায়। জর্ডান এই মানবিক সংকটে রোহিঙ্গাদের পাশে আছে।রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের প্রশংসা করেন জর্ডানের রাণী বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য তারা যে মানবিকতা দেখিয়েছে, তার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ।
তবে বাংলাদেশের একার পক্ষে এ ভার বহন করা সম্ভব নয় বলে জানান রাণী। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জর্ডান ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলেও জানান জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলোর এই পরামর্শক।