রাজধানী সুপার মার্কেট কবে চাঁদাবাজ মুক্ত হবে
অম্লান দেওয়ান: রাজধানী সুপার মার্কেটের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। অভিযান, চাঁদাবাজির অভিযোগে হাতেনাতে আটকের ঘটনা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা—এসব কিছুই পরিস্থিতি পাল্টাতে পারেনি। সেখানকার এক ব্যবসায়ী তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ ও প্রাণনাশের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ কাদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, নিজের জীবন হুমকির মুখে মনে করে সেই ব্যবসায়ী জিডি করতে থানায় গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
রাজধানী সুপার মার্কেটকে ঘিরে চাঁদাবাজদের চক্র কতটা সক্রিয়, তা টের পাওয়া যায় গত ৮ জুলাই র্যাবের অভিযানের সময়। তখন হাতেনাতে ১১ চাঁদাবাজ ধরা পড়ে। তাঁরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হলেও পার পেয়ে যান যুবলীগের সে সময়কার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। তখন শাস্তি পাওয়া ঠেকাতে পারলেও পরে এই অভিযোগেই সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হন।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মাস দেড়েকের মাথায় সেখানে আবার চাঁদাবাজি শুরুর খবর মিলেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাঁদাবাজিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা ও স্থানীয় কাউন্সিলর ময়নুল হক এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা রেজাউল করিম।
পত্রিকায় এ খবর বের হওয়ার পর সেখানকার ব্যবসায়ী সেন্টু হাজি তাঁর ওপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় ওয়ারী থানা জিডি গ্রহণ না করে কার্যত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ নিয়েছে। জিডি গ্রহণ না করার যে যুক্তি কর্তব্যরত এসআই দিয়েছেন, তা অগ্রহণযোগ্য।
পত্রিকায় এ খবর বের হওয়ার পর সেখানকার ব্যবসায়ী সেন্টু হাজি তাঁর ওপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় ওয়ারী থানা জিডি গ্রহণ না করে কার্যত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ নিয়েছে। জিডি গ্রহণ না করার যে যুক্তি কর্তব্যরত এসআই দিয়েছেন, তা অগ্রহণযোগ্য।
ওয়ারী থানার এই অবস্থানের সঙ্গে কোনো ভাগ-বাঁটোয়ারা বা স্বার্থের সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।আমরা এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সেখানকার ব্যবসায়ীদের নিরাপদে ব্যবসা করার পরিস্থিতি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।