রাজধানী প্রধান ঈদ জামাত জাতীয় ঈদগাহে নজিরবিহীন নিরাপত্তা
এস রহমান : বাংলাদেশে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহকে ঘিরে এমন নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।পুলিশ বলছে, এবার জাতীয় ঈদগাহে যারা ঈদের জামাত পড়তে আসবে তাদের প্রত্যেককেই ভেতরে ঢোকানোর আগে পুলিশ তল্লাশি করবে।
প্রবেশপথ গুলোতে থাকা মেটাল আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হবে নামাজীদের।তারপর পুলিশ তাদের হাতে থাকা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দ্বিতীয় দফা তল্লাশি করবে।কারো হাতে ব্যাগ বা অন্যান্য সামগ্রী থাকলে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
শুধুমাত্র জায়নামাজ বা নামাজের বিছানা তারা বহন করতে পারবেন।গত শুক্রবার ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলায় বিদেশীসহ কুড়ি জন বেসামরিক নাগরিক এবং দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার প্রেক্ষাপটে পুলিশ এই ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঢাকার জাতীয় ঈদগাহে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীসভার সদস্য, বিচারপতিরা-সহ বহু ভিআইপি ঈদের নামাজ পড়তে আসেন।এখানে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতটিকেই দেশের প্রধান ঈদের জামাত বলেই গণ্য করা হয়।গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে চলছে ঈদগাহের সাজসজ্জা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতির কাজ।
আশপাশের এলাকায় চলছে ডগ স্কোয়াডের তল্লাশি।আজ দুপুরে ঈদগাহের ঈদের নামাজের প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখতে সেখানে যান ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।সেখানে গিয়ে তিনি নানা ধরণের নিরাপত্তা নির্দেশনা দেন।
তার বরাত দিয়ে ঢাকায় পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান জাতিরকন্ঠকে জানান, জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদেও একই নির্দেশনা অনুসরণ করবেন তারা।জাতীয় ঈদগাহের আশপাশে এবং ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ও পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে সোয়াট এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলও।