রাজধানী ঢাকায় ভোর রাতে ৬.৬ মাত্রায় ভূমিকম্পে সারা শহর কেঁপে উঠল-
বিশেষ প্রতিবেদক: আজ সোমবার ভোর রাত ৫টা ৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের এক ভূমিকম্পে সারা শহর কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পের প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে ঘুমন্ত মানুষ জেগে ওঠে হুরমুর করে রাস্তায় বের হয়।
অনেকে বিছানা বসে আল্লাহর নাম নিয়ে দোয়া দরুদ পড়তে থাকে। এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৬। এর উতপত্তিস্থল ছিল ভারতের মনিপুরে।
৫টা ২০ মিনিটে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে পৃথিবীতে ‘আসন্ন’ বড় এক ভূমিকম্পে চার কোটির বেশি মানুষ মারা যেতে পারে বলে দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ গবেষক। তার আশংকাই সোমবার বাংলাদেশে সত্য হলো কিনা তা নিয়ে মানুষ বলাবলি করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক মেহরান ত্রাভাকোলি কেশে বলেন, বড় এক ভূমিকম্পের কারণে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ পৃথক হয়ে পড়তে পারে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চীনের উত্তরাঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে।আণবিক, প্লাজমা, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ের গবেষক কেশে ইউটিউবের ভিডিওবার্তায় সম্প্রতি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এছাড়া কয়েকদিন আগে চিলিতে ঘটে যাওয়া ৮ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের কথা উল্লেখ করেন কেশে। ওই ভূমিকম্পের কারণে ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়।বড় ভূমিকম্প এবং এই নিয়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নতুন নয়। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
এতে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকার পুরোনো ও নতুন অনেক স্থাপনা ধসে পড়ে। এই ঘটনায় নেপালে অন্তত ৮ হাজার মানুষ মারা যায়।নেপাল ছাড়াও পাশের দেশ ভারত, চীন ও বাংলাদেশসহ তিব্বত অঞ্চলে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
তবে ওই ভূমিকম্পের পর পশ্চিমা অনেক গবেষক দাবি করেন, ভূমিকম্প আরো ভয়াবহ হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন। যেহেতু তাদের শঙ্কা অনুযায়ী নেপালের ভূমিকম্প হয়নি, সেহেতু আবারো বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন অনেক গবেষক।