বেলা দুইটার দিকে বাদল মুন্সি তাঁর দোকানের দুই কর্মচারী বসির ও পলাশকে নিয়ে রিকশায় করে বাদামতলি থেকে ইসলামপুরের ন্যাশনাল ব্যাংক শাখায় ১৬ লাখ জমা দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের রিকশা নবাববাড়ি পুকুর পাড় এলাকায় আসামাত্র ৭-৮ জনের এক দল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে এসে বাদলদের ঘিরে ফেলে পথ আটকায়। সন্ত্রাসীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে বাধা দেন বাদল, বশির ও পলাশ।
এ নিয়ে টানাহেঁচড়ার একপর্যায়ে বাদলের হাঁটুর ওপরে দুটি গুলি করে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। যাওয়ার সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে বাদলের পরিচিত ও ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, বশির ও পলাশ তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।আহত বাদল জানান, ছিনতাই হওয়া টাকা তিনি চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঠাতেন। টাকা পেয়ে ওই ব্যবসায়ী ঢাকার দোকানে চট্টগ্রাম থেকে ফল পাঠাবেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্প ইনচার্জ মোজ্জাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এদিকে আহত বাদল মুন্সিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্থানীয় স্বতন্ত্র সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম। তিনি আহতের খোঁজখবর নেন।
কোতোয়ালি থানার এসআই উপপরিদর্শক শাকিল আহত বাদল মুন্সিকে হাসপাতালে দেখে গেছেন। তিনি বাদলের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন। শাকিল সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।