রাজকন্যার ভালবাসায় জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফুরফুরে সাকিব
স্পোর্টস রিপোর্টার: রাজকন্যার ভালবাসায় জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফুরফুরে সাকিব। সিরিজ খেলতে কাল সকালে খুলনায় চলে যাবে বাংলাদেশ দল। খুলনায় উড়াল দেওয়ার আগের দিন আজ কোনো অনুশীলন ছিল না মাশরাফিদের। তবে বিসিবি একাডেমি মাঠের নেটে যথারীতি মুশফিকুর রহিমকে পাওয়া গেল। এটি নতুন কিছু নয়। জিমে দেখা গেল সাব্বির রহমানকে। খবর সেটিও নয়। ‘অলস’ মিরপুরে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরালেন আসলে সাকিব আল হাসান।
২৩ ডিসেম্বর স্ত্রী-কন্যাকে দেখতে মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে ফিরলেন গতকাল রাত আটটায়। আজ সকাল এগারোটার দিকে চলে এলেন ঐচ্ছিক অনুশীলনে। এর পর মিরপুর ইনডোরে চলল ঘণ্টাখানেকের অনুশীলন।
সাকিবের কথা শুনতে মিরপুরের ইনডোরের গেটে ভিড় জমল সংবাদকর্মীদের। অনুশীলন শেষে দরজায় পা রাখতেই দেখা মিলল পরিচিত সেই হাসিটা।
তবে বিনয়ের সঙ্গেই ফিরিয়ে দিলেন সংবাদকর্মীদের অনুরোধ। জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে এখন কিছু বলতে চান না ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে কি সাংবাদিকদের এতক্ষণের অপেক্ষা বিফলে গেল?সেটা হয়তো গেল। তবে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমের সামনে যে সাকিবকে পাওয়া গেল, পেশাগত ভাবনা পাশে সরিয়ে রাখলে সেটি দারুণ এক মুহূর্তই বলতে হবে সংবাদকর্মীদের।
কুসুমকোমল রোদ গায়ে মেখে জম্পেশ এক আড্ডা হয়ে গেল সাকিবের সঙ্গে। নানা রসিকতায় হাসির হুল্লোড় পড়ল ক্ষণে ক্ষণে। সে আড্ডায় কী ছিল না? স্ত্রী-কন্যা, মা, শ্বশুর বাড়ি, ঘোরাঘুরি, ব্যক্তিগত ব্যবসা, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভেন্যু ধর্মশালা—ছিল সবই। ছিল না কেবল জিম্বাবুয়ে সিরিজ।
কাল কন্যার বয়স দুই মাস হবে। এত দিন তো ‘রাজকন্যা’ বলেই চিনেছে সবাই। আজ জানা গেল সাকিবের কন্যার নাম—আলাইনা হাসান অব্রি। নামটা রেখেছেন স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। কন্যা নাকি বাবাকে পেলে একদম শান্ত-চুপচাপ থাকে। বাবার কোল পেলেই নিশ্চিন্তে ঘুম দেয়। রসিকতা করেই বললেন, ‘বয়স তুলনায় বাচ্চাটা একটু বড় হয়ে গেছে! আমার আম্মা আর শাশুড়ি সুযোগ পেলেই খাওয়াতে থাকেন। সেটা দেখে বউ বেশ খেপে যায়!’
আগের সাকিব আর বাবা সাকিবের মধ্যে পার্থক্য কী? আগে বাচ্চাদের খুব একটা কোলে-টোলে না নিলেও এখন কন্যাকে কোলে তুলে নিতেই তাঁর যত সুখ! পরম স্নেহ, আদরে ঘুম পাড়িয়ে দেন। রাতে ডায়াপার পরিবর্তন করে দেন। কেবল আপনাকেই করতে হয়, স্ত্রী করেন না? কেউ একজন টিপ্পনী কাটলেন।
‘না, না, দুজনই করি!’—হেসে উঠলেন সাকিব। চোখেমুখে সতেজ ভাব বলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সফরটা দারুণই হয়েছে। তবে ইচ্ছে মতো ঘোরাঘুরি আর প্রিয় খাবার আস্বাদনে ফিটনেস নিয়ে বোধ হয় কিছুদিন কাজ করতে হবে সাকিবকে।