‘রাজউকে যুদ্ধাপরাধীদের প্লট থাকবে না’
সংসদ রিপোর্টার : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি সরকার আমলে যুদ্ধাপরাধীদের নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল কি না- তা পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদ আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ ও ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া সরকারের সময় সাজাপ্রাপ্ত/অভিযোগে আটক যুদ্ধাপরাধীদের নামে প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে কি না- তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম বহির্ভূতভাবে জামায়াতের বিভিন্ন নেতা/সাজাপ্রাপ্ত/অভিযোগে আটক চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের নামে রাজউক কর্তৃক প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে থাকলে তা তদন্ত করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে প্লট বরাদ্দ দেয় রাজউক। ২০০৬ সালে ২১ মে রাজউকের বোর্ডসভায় তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিজামীকে পাঁচ কাঠার একটি প্লট দেয়া হয়।
১৯৯৫ সালে আজিজুর রহিম নামের এক ব্যক্তিকে বরাদ্দ দেয়া বনানীর ১৮ নম্বর সড়কের ৬০ নম্বর প্লটটি নিজামীকে দেয়া হয়। এ নিয়ে আগের বরাদ্দগ্রহীতা পূর্ত মন্ত্রণালয়ে সচিব বরাবর অভিযোগ করলে তদন্ত শুরু হয়।আজিজুর রহিম ওই প্লটের বিপরীতে তিন লাখ টাকা কিস্তি পরিশোধ করার পরও তা নিজামীকে বরাদ্দ দেয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনের প্রশ্নে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, দশম সংসদের যেসব সদস্যের ঢাকা শহরে প্লট বা ফ্ল্যাট নেই তাদের জন্য ‘কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন’ আবাসিক প্রকল্পে প্লট/ফ্ল্যাট সংরক্ষিত থাকবে।
এছাড়া রাজউক কিংবা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নতুন প্রকল্পগুলোতে সংসদ সদস্যসহ সব পেশা/শ্রেণির মানুষের জন্য প্লট/ফ্ল্যাট বরাদ্দের সুযোগ থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।