রহস্যজনক ভালুকা বিস্ফোরণে কুয়েটে কান্না
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : রহস্যজনক ভালুকা বিস্ফোরণে’র এখনো কোনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় কুয়েটে কান্না রোল পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি ছয়তলা ভবনের ৩ তলায় হঠাৎ বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। হতাহতরা সবাই খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (কুয়েট) ছাত্র। মাস্টারবাড়ি স্কয়ার ইন্ডাস্ট্রিজে তারা ইন্টার্ন করতে ১০ দিন আগে ওই ছয় তলা ভবনের ৩য় তলা ভাড়া নেন।
নিহতের নাম তৌহিদ (২৩)। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন দীপ্ত (২৩), শাহীন (২৩) ও হাফিজ (২৩) নামে অারও তিনজন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত তৌহিদের বাড়ি বগুড়ার শাহজাহানপুরে। এছাড়া আহত দীপ্তর বাড়ি মাগুরা, শাহীনের বাড়ী সিরাজগঞ্জ এবং হাফিজের বাড়ি নওগাঁয় বলে জানা গেছে।
অাহতদের বন্ধু নাজমুল শুভ অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠকে জানান, কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনও জানতে পারিনি। তবে প্রাথমিক ভাবে জেনেছি গ্যাসের লাইন লিক হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত তৌহিদ ও অাহত সবাই অামার বন্ধু। অামাদের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। বাকি ছিল শুধু ইন্টার্নশিপ। এটা শেষ হলে সবাই ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হবে। ঢামেকে চিকিৎসাধীন তিনজনের ব্যাপারে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, অাহত তিনজনের মধ্যে শাহিনের অবস্থা খু্বই ক্রিটিকাল। তার ৮৫ শতাংশ বার্ন হয়েছে। অপর দুজনের মধ্যে দীপ্তর ৪৪ শতাংশ এবং হাফিজের ৫৩ শতাংশ বার্ন হয়েছে।
না গেছে, শনিবার রাত দেড়টার দিকে বিস্ফোরণে ৩য় তলার দেয়াল ও কাঁচের দরজা-জানালা ভেঙে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।বর্তমানে ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
ঢাকা থেকে বোমা ডিস্পোজাল টিমের সদস্যরা ভালুকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এমনটি ঘটতে পারে। তবে ঢাকা থেকে বোম ডিস্পোজাল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে না পৌঁছা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।স্থানীয়রা জানান, ১০ দিন আগে খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (কুয়েট) ৪ ছাত্র এই ভবনের তিনতলায় একটি রুম ভাড়া নেয়। ভবনটির নিচতলায় ওয়ালটনের শো-রুম রয়েছে এবং অন্য ফ্লোরগুলো আবাসিক ভাড়া দেয়া।