• বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

রসে ভরা পাটালি গুড়ের ভান্ডার-খেজুরগাছ কাটছে গাছি


প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ১৩ নভেম্বর ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬১ বার

 

আসমা খন্দকার : রসে ভরা পাটালি গুড় আর শীতের রকমারি পিঠাপুলি’র জন্যে চাই খেজুর রশ।শীতের আগমনি বার্তায় khejur-www-jatirkhantha-com-bdসে কাজেই নেমে পড়েছেন গাছি।গ্রামে গ্রামে এখন খেজুর গাছ কাটার মৌসুম। সেই মৌসুম সার্থক করতে গাজছরা নেমেছেন খেজুর গাছ কাটতে।লোভনীয় খেজুর রসের জোগান দিতে এখন থেকেই ব্যস্ত গাছিরা। চলছে খেজুর গাছ চাঁছা-ছোলার কাজ। গ্রামে গ্রামে দল বেঁধে গাছিরা খেজুরগাছ পরিষ্কারের কাজ করছেন।

শীতের হাওয়া বইছে সারাদেশে। সামনেই খেজুর রসের মৌসুম। তাই এখন ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে এখানের গাছিরা। জেলার বিভিন্ন গ্রামেই এখন একই দৃশ্য, সকাল থেকেই ব্যস্ত গাছিরা দা, ঠুঙি ও দড়ি নিয়ে ছুটছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

শীত নিয়ে আসে নানা রকম সুস্বাদু খাবারের সমাহার। বিভিন্ন রকমের খাবারের মধ্যে শীতের প্রধান অনুষঙ্গ সুস্বাদু খেজুরের রস। সে রসে তৈরি পাটালি গুড় আর শীতের রকমারি পিঠাপুলি সবার মন ভরিয়ে দেয়। লোভনীয় খেজুর রসের জোগান দিতে তাই এখন থেকেই ব্যস্ত গাছিরা। চলছে খেজুর গাছ চাঁছা-ছোলার কাজ। গ্রামে গ্রামে দল বেঁধে গাছিরা খেজুরগাছ পরিষ্কারের কাজ করছেন।

khagur-ros-www-jatirkhantha-com-bdরংপুরের গাছি কালাম মিয়া জানান, তিনি এবার সব মিলিয়ে ১৫০টি খেজুর গাছ কেটেছেন। প্রতিদিন ১৫০টি খেজুর গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ কেজি গুড় সংগ্রহ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, তিনি সাধারণ খেজুরের গুড় থেকে পাটালি তৈরি করেন। যার চাহিদা অনেক এবং বেশি দামে বিক্রি করা যায়। যত্নসহকারে কাটলে একটি খেজুর গাছ থেকে মৌসুমে প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি গুড় উৎপাদন করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘শীত আসা মাত্রই আমরা খেজুর গাছ “তোলার জন্য” সকাল-সন্ধ্যা লেগে আছি। খেজুর গাছ আগের থেকে অনেক কমে গেছে। আগের মতো এখন বেশি রস সংগ্রহ হচ্ছে না।’

মিঠাপুকুরের রফিকুল ইসলাম নামের এক গাছির বলেন, ‘জেলার গ্রামীণ মেঠোপথের ধারেই রয়েছে সারি সারি খেজুরগাছ। তাই বিকেলে গ্রামের সব পথেই চোখে পড়বে খেজুরগাছ ঝোড়ার অপূর্ব দৃশ্য। গাছের বাইগা (ডাল) ঝোড়া, গাছের মাথা ছেনি অথবা ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কয়েক দফা চাঁছ দেওয়ার কাজ চলছে। রস জ্বালানো ভাটি, জ্বালানি ও রস সংগ্রহের কাজ শেষের দিকে।’

আশ্বিনের শুরু থেকেই তারা খেজুরগাছ তোলা ও পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এটাই উপযুক্ত সময়। মাঘের ‘বাঘা শীতে’ গুড় বিক্রির মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ প্রক্রিয়া।