• রোববার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রমজানের আগেই বাজারে আগুন-লুটপাট-সরকার ডান্ডা না ধরলে মধ্যবিত্তের বারোটা


প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ১১ জুন ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৮৪ বার

ramadan_0শফিক চৌধুরী .ঢাকা:  রমজানের আগেই বাজারে আগুন-লুটপাট-সরকার ডান্ডা না ধরলে মধ্যবিত্তের বারোটা বাজবে ।সরেজমিনে দেখা গেছে, আমদানিমূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে রোজায় ব্যবহৃত ডাল, ছোলা, ভোজ্য তেল ও আদা। বাংলাদেশ ব্যাংকের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের ঋণপত্র খোলার তথ্য ও বাজারমূল্য পর্যালোচনা  করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি মশুরি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ধরন ভেদে ১২০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু প্রতি কেজি মসুরের আমদানিমূল্য ৬৫ টাকা ৭৫ পয়সা। এর সাথে আমদানিকারকদের গুদামে পৌছানো পর্যন্ত প্রতি কেজি মশুরির ডালের খরচ (সিএন্ডএফ) পড়বে ১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পর্যন্ত খরচ পড়বে দেড় টাকা। আর এর বাইরে তুরস্কসহ অন্যান্য দূরের দেশ থেকে আমদানি খরচ পড়বে সর্বোচ্চ আড়াই টাকা। সে ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ডালের দাম পড়ার কথা ৭৮ টাকা। কিন্তু রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে ডাল বিক্রি হচ্ছে ধরণ ভেদে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত।  প্রতি কেজি ছোলার ডাল সিএন্ডএফসহ আমদানিমূল্য ৪৩ টাকা; বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি ছোলার সিএন্ডএফসহ আমদানিমূল্য ৪০ টাকা; বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।  মুগডালের আমদানিমূল্য ৭২ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। পরিশোধিত প্রতি কেজি সয়াবিনের সিএন্ডএফসহ আমদানিমূল্য ৫৮ টাকা; বাজারে বিক্রি হচ্ছে ধরণ ভেদে ৯০ থেকে ১১৫ টাকা লিটার। একইভাবে আমদানিমূল্যের চেয়ে ২২ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পামওয়েল। প্রতি কেজি আদার সিএন্ডসহ গড় আমদানিমূল্য ৬৩ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ধরন ভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

রোজাকে সামনে করে খুঁচরা বাজারে এসব পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মে মাসে বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা দেখা করার এক সপ্তাহের মধ্যে দাম বৃদ্ধির এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা মনে করছে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা লোভী মানসিকতার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

এসব পণ্য আমদানিমূল্যের চেয়ে  বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে-জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে দাম কমানোর জন্য জোর করা যায়না। তারপরও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কৃষিপণ্য আমদানিকারকসহ পণ্য বাজারজাতকারীদের ডেকে এ ব্যাপারে কথা শোনা হয়। তারা প্রতিশ্রুতি দেন এসব পণ্য বেশি দামে বিক্রি করবে না। যৌক্তিক দাম বেধে দেয়া হয়। এরপরও যাতে বেশি দাম না রাখতে পারে সে ব্যাপারে বাজার পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। রমজানকে সামনে করে এ ধরনের বাজার পর্যবেক্ষণ বেশি জোরদার থাকে।