• মঙ্গলবার , ১৪ মে ২০২৪

রক্তাত্ত ভোটে ৭ লাশ


প্রকাশিত: ১:১৭ এএম, ১ এপ্রিল ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৪ বার

 
জাতিরকন্ঠ রিপোর্ট :     কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, জালভোট প্রদান ও সংঘাত-সহিংসতার মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের ৬৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই ধাপে সহিংসতায়vote-blad-www.jatirkhantha.com.bd শিশুসহ কমপক্ষে ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের সন্দীপে তিনজন, কেরানীগঞ্জে এক শিশু এবং যশোর সদর, জামালপুরের মেলান্দহ ও নাটোরের লালপুর উপজেলায় একজন করে নিহত হয়েছে। এইধাপে বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। এর মধ্যে সাংবাদিকসহ শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

প্রথম ধাপের চেয়ে এবার ভোটগ্রহণ চলাকালেই প্রাণহানি বেশি হয়েছে। ভোট কারচুপিতে সহযোগিতার অভিযোগে যশোরে ২ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও একজন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রিজাইডিং অফিসারকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ইউএনও হাবিবা শারমিন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে। এর মধ্যে যশোর ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ৭টি করে কেন্দ্র, চাঁদপুর সদরে ৬টি, মাদারীপুর সদরে ৩টি, জামালপুরের মেলান্দহ, কুমিল্লার বরুড়া, হাইমচর ও কবিরহাটে ২টি করে এবং সিরাজগঞ্জ ও বাজিতপুরে একটি করে কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা থেকে গত দেড় মাসে নির্বাচনী সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন ভোটকে কেন্দ্র করে। প্রথম ধাপে আগে-পরে অন্তত ২৪ জন মারা গেলেও দ্বিতীয় ধাপে ভোটের সময়ই ছয়জন মারা যান। এছাড়া ভোটের আগে আরো তিন মারা যান।

জাতিরকন্ঠ প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়টি জেলাতেই ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সন্দ্বীপে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছে। এ বিভাগে সংঘর্ষ-হামলায় অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক। অন্তত ১০টি কেন্দে ভোট স্থগিত করা হয়। সব জেলাতেই বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেন।

খুলনা বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে চারটির ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যশোরে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। আর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে একজন এএসআইকে ক্লোজ করা হয়। ৬টি কেন্দে র ভোট স্থগিত করা হয়। এ বিভাগে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।

ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বেশিরভাগ ইউপিতে কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, জালভোট ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জে ও জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় সহিংসতায় এক শিশুসহ অন্তত দুই জন নিহত হয়েছে। এছাড়া কয়েক শ’ মানুষ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের সংঘর্ষ চলাকালে আহত হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগে ব্যালট ছিনতাই ও প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর, কেন্দ দখলের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় সংঘর্ষে ১৯ জন আহত হয়েছে। নাটোরের লালপুর উপজেলায় একজন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করায় একজনকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে সুনামগঞ্জের খুরমা ইউনিয়নের ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

ব্যালট পেপার ছিনতাই, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষ ও জাল ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে রংপুর ও বরিশাল বিভাগের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন। এদের অধিকাংশকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভোলার আব্দুল­াহপুরে জাল ভোট প্রদান করায় দু’জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

সন্দ্বীপ নিহত ৩ :নির্বাচনী সহিংসতায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৩ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১ পুলিশ কনস্টেবল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। পুলিশ অবশ্য দু’জন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী কাউসার আলম শাহেদ তার সশস্ত্র লোকজন নিয়ে কেন্দ্র দখল করতে যায়। তারা সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। হামলাকালীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বেলালের কর্মী সানাউল্লাহ (৪০) এবং কেন্দ্র দখল করতে আসা মেম্বার প্রার্থীর কর্মী মো. ইব্রাহিম (৩০) ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

পরে সংঘর্ষে জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে মারা বলে জানা যায়। তবে জামাল উদ্দিনের নিহত হওয়ার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার ইত্তেফাককে বলেন, চট্টগ্রামের ৩টি উপজেলাতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকালে সন্দ্বীপে একটি কেন্দ্র দখল করতে একজন প্রার্থী লোকজন নিয়ে চড়াও হলে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে হামলাকারী প্রার্থীর লোকজনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীর লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ব্যক্তি মারা যান।

যশোরে নিহত ১: সদর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত ও তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মীর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। সহিংসতা ও কারচুপির অভিযোগে অন্তত ৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ভোট কারচুপিতে সহযোগিতার অভিযোগে তিন জন প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে। আর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে একজন এএসআইকে ক্লোজড করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বোমাবাজি ও গোলাগুলিতে আবদুস সাত্তার বিশে (৬০) নামের এক ফেরিওয়ালা নিহত হন। এ সময় আবদুল হক (৫৬) নামের আরও একজন আহত হন। গোলযোগের পর এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, স্থানীয় বিল্লাল মেম্বার ও লালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ব্যাপক বোমাবাজি করতে করতে কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষায় গুলিবর্ষণ শুরু করে। গোলাগুলি ও বোমা হামলার মধ্যে পরে ফেরিওয়ালা (বাদাম বিক্রেতা) আবদুস সাত্তারের কপালে গুলি ও শরীরে বোমা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। গোলাগুলি ও বোমা হামলার পর ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম।

এছাড়া সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া স্কুল কেন্দ্রের বাইরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাসান আলী (৩০) নামে এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থীর হামলায় আহত হয়েছেন ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী শুকুর আলী (৪০)। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বিকেলে উপশহর মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্বরত এএসআই হুমায়ুন কবিরকে ক্লোজড করা হয়েছে।

সহিংসতা ও কারচুপির অভিযোগে সদর উপজেলার অন্তত ৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলো হলো-চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের চুড়ামনকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিমপুর ইউনিয়নের বিজয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া-ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোয়ালদহ-কন্যাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও উপশহর শহীদ স্মরণী বিদ্যালয় কেন্দ্র।

সিল মারা ব্যালট পেপার জিম্মায় রাখার অভিযোগে কাশিমপুর ইউনিয়নের বিজয়নগর সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রফিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ইসরাত জাহান এবং চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের চুড়ামনকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সরকারি প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ বিন আকবরকে আটক করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জে শিশু নিহত: উপজেলার মধুরচর বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহিদুল ইসলাম শুভ (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ ৩ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া উপজেলার ১১টি ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি ও সিল মারার অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। বাস্তা, রোহিতপুর, আগানগর, হযরতপুর ও কালিন্দী ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচন প্রত্যাখান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

জামালপুরের নিহত ১, আহত শতাধিক: জেলার মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বালুর চর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পাটকেলের আঘাতে রবিউল ইসলাম (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন-শৃংখলা বাহিনী বেশ ক’টি ভোট কেন্দ্রে গুলি চালায়। দু’টি কেন্দ্র বাতিল করেছে। সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে লাল মিয়া, আ. আলিম ও হালিমের অবস্থা আশংকাজনক। লালমিয়াকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লালপুরে একজন নিহত: নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি সমর্থক বিপ্লব হোসেন (৪৫) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। সে ওই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত সাজেদুর রহমানের ছেলে। বেলা ১২টার দিকে বিপ্লব আড়বাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কক্সবাজারে ৩ জন গুলিবিদ্ধ: জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন, বারবাকিয়া ও মগনামা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ৫ জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে তিন জন হলেন মো. ইকবাল, আবু শামা ও কাশেম। এছাড়া সদর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলাকালে পুলিশ ও র্যাবের হামলায় আহত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু শামা।

পরে পুলিশ পেকুয়া সদরের জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সা.সম্পাদক আবুল কাশেম ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্তত তিনজনকে থানায় ধরে নিয়ে য়ায়। এদিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের জিএমসি উচ্চ দ্যািলয়ে র্যাব পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু শামাকে লাঠিচার্জ করলে সেই দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সময় টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি সুজা উদ্দিন রুবেল ও ক্যামেরাম্যান র্যাব সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হন।

সীতাকুন্ডে কেন্দ্র দখল:জেলার সীতাকুন্ডে ইউপি নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০জন আহত হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউপি’র ৮৮ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ভোটার বিহীন ৮৫টি ভোটকেন্দ্রই ১১টার মধ্যে দখল করে নেয় সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা। রাত থেকেই কেন্দ্রগুলো দখল করে নৌকা প্রতীকে সীল মেরে রাখা হয় বলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেন। তাছাড়া সকালে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থীদের কোন এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভাটেরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নৌকা প্রতীকে সীল মারার সময় সাংবাদিক দেখে ব্যালট পেপার ফেলে পালিয়ে যান। একই অবস্থা দেখা যায় ওই ইউনিয়নের ক্যাপ্টেন শামছুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ৫নং বাড়বকুন্ড ১ ওয়ার্ড হাতিলোটা কেন্দ্রে। আবার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৫৫নং ঘোড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে একটি বুথে নারী সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বারের ব্যালট পেপার বই সীল মারা অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সীল মারি নাই, কে মেরেছে আমি জানি না।

কুমিল্লায় সংঘর্ষ, ৭ প্রার্থীর ভোট বর্জন: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ, কেন্দ্র দখল, প্রতিপক্ষের এজেন্টদের বের করে দিয়ে জাল ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়ম-কারচুপির মধ্য দিয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলার ১৪টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনিয়মের অভিযোগ এনে দুপুর আড়াইটায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫টি ইউপি’র বিএনপি মনোনীত ৫ প্রার্থী এবং চৌয়ারা ইউপির আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন প্রার্থীসহ সাত প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। ভোট চলাকালে কেন্দ্র দখলসহ সংর্ষের ঘটনায় জেলার বরুড়া উপজেলার চিতড্ডা ইউপির মুকুন্দপুর ও ভঙ্গুয়া কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুই উপজেলার এসব ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৮জন আহত হয়েছে।

চাঁদপুরে ৩ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত: চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার পর সন্ত্রাসীরা কয়েকটি কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। চাঁদপুরে ২টি ও হাইমচরে একটি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ৬ ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ কেন্দ্রে সহিংসতা: জেলার নবীনগরে ১১ ইউপি নির্বাচনে ১০৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কেন্দ্রে সহিংসতায় ২৩ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে সাতমোড়া ইউনিয়নের ছোট শিকানিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় ফুয়াদ হাসান (২৫), জয়নাল (৩৮) ও মাছুদকে (৪০) নবীনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নোয়াখালীতে ভোট বর্জন: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কেন্দ্র দখল, ভোট বর্জন, জাল ভোট প্রদান ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ দেখিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল মতিন তোতা সকাল ১০টায় ভোট বর্জন করে। চরপার্বতী ইউনিয়নের ধানে শীষের প্রার্থী নুরুল আমিন (নুরু) কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান ও এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে দুপুর ১২টায় ভোট বর্জন করেন। উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭,৮ও ৯ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়।

কুষ্টিয়ায় গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫: ভোট প্রদানে বাধা,এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র বের করে দেয়াসহ নির্বাচনী বিরোধে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লারদর্গায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। এসময় পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়লে পাঁচজন আহত হন। ভোট গ্রহণ চলাকালে বিএনপির ছয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। মরিচা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দৌলতপুর আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ভাতিজা তোষণ চৌধুরী আহত হন।

মেহেরপুরে জালভোটের দায়ে স্কুলছাত্র আটক: জেলার মুজিবনগর মোনাখালি ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে নৌকা মার্কায় জালভোট দেয়ার অপরাধে সোহাগ (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। মহাজনপুর ইউনিয়নের যতারপুর কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কেন্দ্র দখল নিয়ে নৌকা ও ধানের শীষের কর্মীদের গোলযোগের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ শটগানের ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

ঝিনাইদহে ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা: জেলার মহেশপুরে ১২ টি ইউনিয়নে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দান ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে যাদবপুর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে শ্যামকুড় ইউনিয়নের অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতায়ের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে তাদের প্রতিহত করে।

মুন্সীগঞ্জে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫ :দিনব্যাপী সহিংসতা আর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্র দিয়ে শেষ হয়েছে জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলার ১৮টি ইউপির ১৬৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ককটেল বিষ্ফোরণ এবং পুলিশের গুলির ঘটনাও ঘটেছে। এতে পুলিশের গুলিতে একজন ও ককটেল বিষ্ফোরণে তিন জন এবং দুই আনসার সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছে।

বেলা ১২ টার দিকে পাটাভোগ ইউপির মাসুরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গোলাগুলিতে ১ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়। শ্রীনগর উপজেলার ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯ কেন্দ্রের বাইরে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, এসব বিশৃঙ্খলায় একজন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে আনসার সদস্য রবি শিকদার (৩৫) ও রহমতউল্লাহ (২৭) রয়েছেন।

কিশোরগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ১২ :ব্যালট পেপার লুটের কারণে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের পারকচুয়া ও আয়নারগোপ গ্রামে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়। কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রে অনিয়মের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

ভূঞাপুরে জালভোটের অভিযোগে আটক ১৮: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, পুলিশের ফাঁকা গুলির মধ্যে দিয়ে নির্বাচন শেষ হয়। উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের আগতেরিল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২জন গুরুতর আহত হয়। নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ ভোলা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াহেদুজ্জামান পলাশসহ ১৮ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই গুলিবিদ্ধ:জেলার হরিরামপুরের বয়ড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঈমাম হোসেনের ভাই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বেলা পৌনে ৩টার দিকে একটি কেন্দ্রে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষীরা লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে সিরাজুল ইসলাম মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: জেলার সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাইকান্দি ইউনিয়নের পাইককান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিলে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে চার প্রার্থীর ভোট বর্জন: বিভিন্ন অনিয়ম, জালভোট দেয়া ও ভোট কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রভাব বিস্তার, জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারার মধ্য দিয়ে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রগুলো আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থকদের দখলে ছিল। তাদের দাপটে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী ও এজেন্টরা ছিল অসহায়। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে উপজেলার জামালপুর, বাহাদুর সাদী ও মোক্তারপুর ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং জামালপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

মাদারীপুরে তিন কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত:সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে সহিংস ঘটনায় পুলিশ ও একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। এদিকে ঘটমাঝি ইউনিয়নের ছয়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, করদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও কুন্তিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। খোয়াজপুর ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

নরসিংদীতে কেন্দ্র দখলের উত্সব: কেন্দ্র দখল, সন্ত্রাস, ও সিল মারামারির মধ্য দিয়ে জেলার শিবপুর ও বেলাব উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর ১২টার মধ্যেই অধিকাংশ ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলো আওয়ামী লীগ কর্মীদের দখলে চলে যায়।

ভোলায় সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ: জেলা সদরের রাজাপুর ইলিশার ৪,৫ ও ৬নং কেন্দ্রে গোলযোগ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি আফজাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অসাবধানতা বশত গুলি বেরিয়ে গেলে আফজাল আহত হন। তাকে ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চরফ্যাশনে সংঘর্ষ: নির্বাচন চলাকালে উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডের ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ইউনাইটেড কলেজ কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে লিমা (১৫) নামে এক কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আবদুল্যাহপুরের একটি ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার দায়ে ঐ এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের পুত্র ইব্রাহিম (২৫)এবং সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম (৪৫) নামের ২জনকে জেল হাজতে পাঠানে হয়েছে বলে চরফ্যাশন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জাহা্ঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন।

দিনাজপুরে বৃদ্ধা আহত: জেলার বিরামপুর উপজেলার ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের চকবসন্তপুর প্রাইমারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশ ভোটারদের জটলা সরাতে ধাওয়া করলে ৬০ বছরের বৃদ্ধা ভোটার সখিনা খাতুন আহত হন। র্যাব সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেন।

পঞ্চগড়ের বোদায় ব্যালট পেপার ছিনতাই: জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ভোটারকে মারপিট করে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুপুরে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খয়রুল আলম খানের সমর্থকরা ওই কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষে প্রবেশ করে ২, ৩ ও ৫ নং কক্ষের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে জোর করে প্রায় দুই শতাধিক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির প্রধানের ভোটারদের মারপিট করে ভোট দিতে বাধা প্রদান করে।