রংপুর মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ আওয়ামীলীগ
রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার : পক্ষপাতিত্ব ও অসহযোগীতায় রংপুরে আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররা কাজ করতে না পারলেও মেয়র দাবি করেছেন ঠিকাদারদের অবহেলায় ১২টি উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রয়েছে। এর জের ধরে রংপুরে মেয়রের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা। অভিযোগ করা হয়েছে, মেয়র জাতীয় পার্টি ও তার নেতাকর্মীদের মধ্যে কাজ দিচ্ছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররা কোনো কাজ পাচ্ছেন না।
এ অবস্থায় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা আজ বলেছেন, গত এক বছরে রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্তমান পরিষদের মাধ্যমে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে তাতে আমি নিজেও সন্তুষ্ট হতে পারিনি।গত মেয়রের সময় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য যে সকল ট্রেন্ডার দেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে প্রায় ১২টি কাজ ঠিকাদারের অবহেলার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উন্নয়ন কাজ কিছুটা হলেও থমকে গেছে। আমরা সেই সব ঠিকাদারদের চিহ্নিত করে তাদের কাজ স্থগিত করে দিয়েছি এবং রি-ট্রেন্ডারের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।
মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর সিটি করপোরেশন চত্ত্বরে বর্তমান পরিষদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিকদের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী রংপুর সিটিকে একটি নাগরিক বান্ধব স্মার্ট আধুনিক নগরী গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছি। গত এক বছরে আমার তত্বাবধায়নে রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, ড্রেন স্ট্রীট লাইট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ইতোমধ্যেই ৩০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। ৮৮ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। যা আগামী এক বছরে বাস্তবায়ন হয়ে গেলে নগরবাসির নাগরিক সুবিধা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব আবু সালেহ মোহাম্মদ মুসা জঙ্গির সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রসিক প্যানেল মেয়র সামসুল হক, মাহমুদুর রহমান টিটু, কাউন্সিলর মাহাবুব রহমান মন্জু, তৌহিদুল ইসলাম, মীর মোহাম্মদ জামাল, রহমতুল্লাহ, মহিলা কাউন্সিলর নাছিমা আমিন, মোখলেছুর রহমান তরু, জাকারিয়া আলম শিপলু, মো. আমিনুল ইসলাম, মোছা. ফেরদৌসী বেগম, শফিকুল ইসলাম মিঠু, মাহাবুবুর রহমান মঞ্জু, সেকেন্দার আলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন ও নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলী প্রমূখ ।