রংপুরের পীরগঞ্জে বরিশালের অপহরণকারী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
পীরগঞ্জ প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক অপহরণকারী নিহত হয়েছেন। তিনি আটক ছিলেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন কবীর (৩০)। বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। বাবার নাম আবদুস সাত্তার।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, হুমায়ুনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে যায় পুলিশ। এ সময় তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে হুমায়ুন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
গুলিবিদ্ধ হুমায়ুনের লাশ পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল পাশা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই হুমায়ুনের মৃত্যু হয়। তাঁর মাথার পেছনের দিকে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে পীরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। তাদের মধ্যে হুমায়ুন ছিলেন।
অপহরণকারীরা ১১ লাখ টাকাসহ এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে পালাচ্ছিল। এ সময় ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অপহরণকারীদের মাইক্রোবাস উল্টে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন টাকাসহ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করে তারা পুলিশে দেয়।
আটক পাঁচজন হলেন ভোলার দৌলতখান উপজেলার সাব্বির আলী, চাঁদপুরের মতলবের মোহন মিয়া, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম, বরিশাল সদর উপজেলার হুমায়ুন কবীর ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ইউসুফ হাওলাদার। তাঁদের মধ্যে হুমায়ুন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন।