রংপুরসহ ৫ জেলায় ভয়াবহ বন্যা-
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রংপুরে তিস্তাঘাটসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানির তীব্র স্রোতে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমার বাজারে পানি পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কাউনিয়া উপজেলায় রেল লাইনের স্পিলিফার পানিতে ধসে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে রংপুরের সঙ্গে ৫ জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গেলো ৪ দিনে তিস্তার অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা ও বদরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বিশেষ করে গঙ্গাচড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি গঙ্গাচড়া আর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার সালাপাক ও বাজবল্লভ বেড়িবাঁধ ভেঙে পাকাসড়কসহ তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে গবাদি পশুপাখি নিয়ে দিশেহারা গ্রামবাসী। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি ও ধান ক্ষেত। অপরদিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধারে স্পিড বোড দিয়ে রোববার থেকে সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
দিনাজপুরে বন্যায় ১৪ জনের প্রাণহানী
দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে বন্যার পানিতে ডুবে, দেয়াল চাপায় এবং সাপে কেটে ১৪ জনের মুত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় বন্যা জনিত কারণে জেলায় পানিতে ডুবে,দেয়াল চাপায় এবং সাপে কেটে ১৪ জনের মুত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে দিনাজপুর সদরে ৩ জন, বিরলে ৫ জন, কাহারোলে ৪ জন, নবাবগঞ্জে একজন এবং বীরগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পানিতে ডুবে ৯ জন, দেয়াল চাপায় দু’জন এবং সাপে কেটে ৩ জনের মৃত্যু হয়। জেলা প্রশাসনের বন্যা কন্ট্রোল রুম ও দিনাজপুরের ৫ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তরা নিশ্চিত করেছেন।