• বুধবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রংধনুর কুত্তা মিজানের ফাঁসি দাবি


প্রকাশিত: ৮:০৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৭ বার

 


রুপগঞ্জে নিরীহ এলাকাবাসীর মানববন্ধন-

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : রুপগঞ্জে জমি দখল ও দখলবাণিজ্যকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান ওরফে ‘কুত্তা মিজানের’ ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তারা জানান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের দখলবাণিজ্যের গুণ্ডা বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন এই কুত্তা মিজান। এই সেই মিজান যিনি জমি দখলকালে কুত্তা লেলিয়ে দিতেন। তাই মিজানের পাশাপাশি রফিকুল ইসলামের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিও জানান তারা।

বুধবার সকাল ১১টায় রূপগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়সহ ভুক্তভোগী পরিবারের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিচার চাইতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত স্বাধীনের নানা রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘আমার নাতি হত্যার বিচার চাই। জায়গা-জমির জন্য তারা আমার নাতিরে মাইরা ফালাইছে।

১০ মাস হলো, আমার নাতি আমাকে নানা বলে ডাকে না। আমার গলা জড়ায়ে ধরে এখন আর কেউ ঘুমায় না। টাকার অভাবে আমি মামলাও করতে পারিনি। আমি জায়গা-টায়গা কিছুই চাই না, শুধু আমার নাতিকে চাই।’

নিহত স্বাধীনের মা ঝর্না বলেন, ‘জমি দখলের জন্য আণ্ডা রফিকের হয়ে সন্ত্রাসী মিজান, শফিক ও জসু আমার একমাত্র ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমার ছেলে এসএসসি পাশ করছিল। বাসায় এসে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলেছে। আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে।
ওরা আমাকে কেন মেরে ফেলে নাই? দারোগার কাছে বিচার দিয়াও কোনো লাভ হয় নাই। আমি এটার তদন্ত চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই। এর বেশি আমি আর কোনো কিছু চাই না। ওগো জ্বালায় কেউ শান্তিতে থাকতে পারি না।’

নিহত সাজীদের বাবা শাহীন আলম বলেন, ‘জমির জন্য ছেলেকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর খিলগাঁও থানায় মামলা করতে গিয়েছি। থানার ওসি জানিয়েছে রফিক-মিজানের নাম বাদ দিলে মামলা নেবে। প্রশাসনের কোথাও গিয়ে আমরা সুষ্ঠু বিচার পাইনি।’
ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘আমার ভাই আব্দুল্লা আল মামুন থেকে ৮৫ লাখ টাকা নিয়েছে তারা। মানুষের জমিগুলো তারা জোর করে দখল করে নিত। জমির মালিককে পাওনা না দিয়েই পুকুর -আবাদি জমি বালু ফেলে ভরাট করে নিত।

আণ্ডা রফিকের গুণ্ডাবাহিনী হয়ে মিজান এসব কাজ করত। এখনো জমিগুলো উদ্ধার হয়নি। তাদের ৪০০-৫০০ জনের গুণ্ডা বাহিনী আছে। এখনো তাদের দখল বাণিজ্য চলছে। আমাদের এলাকার অন্তত ২০০-৩০০ বাড়ির মানুষ ভুক্তভোগী। মিজান আটক হয়েছে, আমাদের দাবি, তার ফাঁসির রায়ের পাশাপাশি আণ্ডা রফিককে গ্রেপ্তার করা হোক।’এসময় তাদের হাতে ‘বেনজীরের ক্যাশিয়ার আণ্ডা রফিকের ফাঁসি চাই’, রূপগঞ্জের কসাই আণ্ডা রফিকের ফাঁসি চাই’, ‘অসংখ্য মায়ের বুক খালি করা খুনি রফিকের ফাঁসি চাই’, ‘স্বাধীন হত্যার বিচার চাই’, ‘ছাত্র জনতা হত্যার বিচার চাই’- লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।