যে কারণে জিতল ভিক্টোরিয়ানরা
নিপা খন্দকার: অধিনায়ক খেলোয়াড় আর মালিক পক্ষ যার যার অবস্থান থেকে কাজ করেছে সবাই।ফলে কোন খেলোয়াড় বাড়তি চাপ অনুভব করেননি খেলায়। য়ার প্রেক্ষাপটে সাফল্য এসেছে ভিক্টোরিয়ান শিবিরে। দলটির মালিক নাফিসা কামাল নিজেই জানিয়েছেন এসব তথ্য।
শুধু জাতীয় দলের হয়েই নয়। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও। কেবল নিজেই নয়, বরং বাকি খেলোয়াড়দের দিয়েও ভালো খেলাতে পারার ক্ষেত্রে মাশরাফি যেনো এক অনন্য উদাহারণ।
বিপিএলের তৃতীয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দায়িত্ব নিয়েই তিনি দলকে পৌঁছে দিলেন ফাইনালে। এই সফলতার পেছনে রহস্য কি? হ্যাঁ! জানা গেলো অন্তত একটা রহস্য। আর তা উন্মোচন করেছেন দলটির মালিক নাফিসা কামাল নিজেই।
সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, বিপিএল শুরুর আগে তাকে একটা অনুরোধ করেছিলেন মাশরাফি। মাশরাফি বলেছিলেন, ম্যাচ চলাকালে ‘প্লেয়ার জোন’ এ না আসতে।মাশরাফির মতে, ম্যাচের সময় মালিকপক্ষের লোক প্লেয়ার জোনে সহজ অনুপ্রবেশ থাকলে সেটা খেলোয়াড়দের উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে। নাফিসা কামাল বলেন, তিনি সেই কথা রেখেছেন।
কোন ম্যাচেই ডাগ আউটে আসেননি তিনি। আর চাপমুক্ত ভাবেই ফাইনালের টিকেট পেয়ে গেছে মাশরাফির দল। নাফিসা কামাল বলেন, আমি প্লেয়ার জোনে যাই না। আমি আসে পাশে থাকলে হয়তো তারা চাপ অনুভব করতে পারে। তাই, দলীয় ভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই ম্যাচের সময় ওখানে থাকবো না। ওদের সাথে আমার ম্যাচের আগে কথা হয়, পরে কথা হয়।
কিন্তু, ম্যাচের সময় কোন ভাবেই না। দলের মালিকদের কাছ থেকে যে সব রকমের সহযোগীতা পাচ্ছেন এর আগে মাশরাফি নিজেও এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাদের সব রকমের সহযোগীতা করছে। অনেক দল আছে যেখানে অনেক বিষয়ে মালিকদের হস্তক্ষেপ থাকে। সেদিক থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ভাগ্যবান।