মঙ্গলবার ঢাকার ডাব্লিওভিএ মিলনায়তনে শাহরিয়ার কবিরসহ বক্তারা এই মত জানালে উপস্থিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরীন আফরোজও তা সমর্থন করেন।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা যাতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পার পেতে না পারে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পায়, এজন্য রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতা কমানোর জন্য বলছি।দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি আপিলের রায়ে কমে কারাদণ্ড হওয়ার পর সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধনের দাবি জোরেশোরে উঠলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
তবে এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করার পক্ষে নন তিনি।৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনও আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনও দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোনও দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।
এই অনুচ্ছেদ সংশোধনের দাবি যারা তুলেছেন; তাদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে ক্ষমতার পালাবদল হলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতরা।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনকারী শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করা পক্ষে নয়, বরং যুদ্ধাপরাধীরা যাতে ক্ষমা পাওয়ার অধিকার না পায়, সেটার কথা বলছি।আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই যে কোনও দিন এটা করা যেতে পারে, আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন তিনি।
প্রসিকিউটার তুরীন আফরোজ বলেন, অতীতে আমরা ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ বিরোধিতাকারীদের গাড়িতে পতাকা উড়তে দেখেছি।তাদের বিচার হচ্ছে। বিচারকে ধুলিস্যাৎ করার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্যই তাদের রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।৪৩তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।