• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাইফুলের ৯০ কোটি টাকা হাতাতে গিয়ে ১১ প্রতারক পাকরাও


প্রকাশিত: ৯:২৯ পিএম, ৮ মার্চ ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৯ বার

11cheater-at-gulsan-www.jatirkhantha.com.bdসাইফুল বারী মাসুম.ঢাকা:

রাজধানীতে জাল নথি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাইফুলের ৯০ কোটি টাকা হাতাতে গিয়ে ১১ প্রতারক কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ কবীর  জানান, রোববার বেলা ১টার দিকে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় এই জালিয়াতির চেষ্টা হয়।এরা হলেন- হাসিবুল হাসান (৩৪), মিরাজুল ইসলাম (৩৪), সাব্বির রহমান (২৪), মো. নজরুল হক (৪২), শাহাবুর রহমান বাবুল (৬৫), খোরশেদ আলম (৩৪), দেলোয়ার হোসেন (৪৫), সেলিম আহমেদ (৪৪), শাহজাহান (৫২), কাজী শাহাদত হোসেন (৫৭) এবং মাহবুবুর রহমান কাজল (৩০)।

পরিদর্শক ফিরোজ জানান, ব্র্যাক ব্যাংকের ওই শাখায় সাইফুল ইসলাম নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক ব্যক্তির বেশ কিছু টাকা এফডিআর করা আছে। এই চক্রটি জাল আমমোক্তার নামা তৈরি করে ওই হিসাব থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করছিল।কয়েক দিন আগে তারা টাকা তোলার জন্য কাগজ নিয়ে ব্যাংকে যোগাযোগ করে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে জানায়। আর তাদের রোববার টাকা নিতে আসতে বলা হয়।

সে অনুযায়ী দুইজন রোববার দুপুরে কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকে হাজির হলে তাদের বলা হয়, এতো টাকা নেওয়ার জন্য আরো বেশি লোক থাকা উচিৎ। তখন দলের আরো নয়জন সেখানে হাজির হয় এবং পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করে।ব্যাংকের ওই শাখার ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ আশফাক সাংবাদিকদের বলেন, একটি প্রতারক চক্র একজন কাস্টমারের অনুপস্থিতিতে এফডিআর ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ব্যাংকের কেউ জড়িত কি না- এমন প্রশ্নে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার লুৎফুল কবির বলেন, এটাই তদন্ত করে দেখার বিষয়। আমরা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। এর আগে গতবছর ২৬ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা থেকে গ্রাহকদের ৫৫টি চেক চুরি হলে বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে। ‘হারিয়ে যাওয়া’ এসব চেকের মধ্যে একটি জমা দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে টাকা তোলারও চেষ্টা হয়।

এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৪টি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে  চেক ও নথি খোয়া যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।গত বছর ডিসেম্বরে ব্যাংকের চেক জালিয়াতি করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।