• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাজ্যে প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ


প্রকাশিত: ১:৫৯ এএম, ৬ জুলাই ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৮ বার

 

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় বসেছে লেবার পার্টি। প্রায় ১৫ বছর পর দলটি ক্ষমতায় গেল। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন দলটির প্রধান কিয়ার স্টারমার।দায়িত্ব গ্রহণ করেই নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় একজন মুসলিম নারী আইন ও বিচার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া বিট্রিশ মুসলিম নারী শাবানা মাহমুদ। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে জন্ম হলেও তার শৈশব কেটেছিল সৌদি আরবের তায়েফে।২০১০ তিনি প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে কাউস অব কমন্সে যান। ওই বছরই প্রথম মুসলিম অ-ব্রিটিশ হিসেবে আরও দুজন নারী (বাংলাদেশি রুশনারা আলী ও পাকিস্তানি ইয়াসমিন কুরেশি) সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে বেছে নিয়েছেন স্টারমার। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন ডেভিড ল্যামির ওপর। অন্যদিকে দেশটির প্রথম নারী চ্যান্সেলর হিসেবে রাসেল রিভসের নাম ঘোষণা হয়েছে।মন্ত্রী হিসেবে আরও যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ভেট কুপার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং, শিক্ষামন্ত্রী ব্রিজেট ফিলিপসন এবং জ্বালানি মন্ত্রী হয়েছেন এড মিলিবেন্ড।এছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে জোনাথন রেনল্ডস এবং মন্ত্রী পদমর্যাদায় ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর হিসেবে প্যাট ম্যাকফ্যাডেনের নাম ঘোষণা করেছেন কিয়ার স্টারমার।

শুক্রবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন কিয়ের স্টারমার। লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, ‘ইটের ওপর ইট গেঁথে দেশের অবকাঠামো পুনর্গঠন করা হবে। খেটে খাওয়া পরিবারগুলো যাতে জীবন চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’আলোচিত এই নির্বাচনে বিভিন্ন দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩৪ জন ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের অনেকেই নির্বাচিত হয়েছেন।

লেবার পার্টির মনোনয়নে বরাবরের মতোই রুশনারা আলী (চতুর্থবার), টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হক (তৃতীয়বার) এবং আফসানা বেগম (দ্বিতীয়বার) হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হলেন।যুক্তরাজ্যে সরকার গঠনের জন্য যেকোনো দলের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬টি আসন। বিপরীতে লেবার পার্টি ৪১২টি আসনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করলো। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই মন্ত্রিসভার ঘোষণা দিলেন দলটির প্রধান কিয়ার স্টারমার।

এবারের সংসদে বিরোধী দল হিসেবে সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ১২১ আসনে জিততে পেরেছে। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেট ৭০, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৮, এসএফ ৭ এবং অন্যান্য দল ২৬ আসন পেয়েছে।৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।