বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: ময়লার বর্জো চাঁদার রেট ৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলেছিল শফিকুল।এর জের ধরে দ্বন্দ চরম আকার ধারন করলে গুলির ঘটনা ঘটে।গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। শফিকুল ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।এ ঘটনার জের ধরে একটি চক্র ওয়ার্ড কমিশনারকে জড়িত করার চেস্টা করছে অভিযোগ উঠেছে। চক্রটি বলছে ওয়ার্ড কমিশনার ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন।কিন্তু কমিশনারেরলোকজন বলেছেন, তিনি সেখানে ছিলেন না।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর মুগদা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল বাসিত খানের কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সর্দার (৫০)। এ ঘটনায় বাসিতসহ কয়েকজনকে আসামি করে মুগদা থানায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন শফিকুলের পরিবারের সদস্যরা।
শফিকুলের চাচাতো ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বর্জ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে কাউন্সিলর আবদুল বাসিত খানের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শফিকুলকে গুলির করার সময় বাসিত নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, শফিকুল ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আবু বকর সিদ্দিকের ভাষ্য, বাসিত খান লোক পাঠিয়ে গতকাল রাত ১০টার দিকে শফিকুলকে তাঁর বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে রিকশায় ওঠার সময় শফিকুলের দুই পায়ে দুটি করে মোট চারটি গুলি করা হয়। এর পর শফিকুলকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরই শফিকুলের শারীরিক অবস্থা বোঝা যাবে বলে তিনি বলেন।
কাউন্সিলর বাসিত খান নিজেকে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, বর্জ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঘটনা ঘটলেও এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন। শফিকুলই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত স্থানীয় যুবকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতেন।
বাসিত খান বলেন, ‘এই এলাকার যুবকদের কাছ থেকে আগে প্রতি মাসে আট হাজার টাকা নিতেন শফিকুল। কয়েক দিন আগে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের শুরু। এ নিয়ে আলোচনা শেষে শফিকুল বাসা ফিরে যাওয়ার সময় গুলির ঘটনা ঘটে।’শফিকুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানান মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। আজ বিকেলে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। তবে আসামি কাদের করা হবে, এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’