‘মোরার পর টর্নেডো আমাদের সবকিছু শেষ করে দিল’
টেকনাফ প্রতিনিধি : মোরার পর টর্নেডো আমাদের সবকিছু শেষ করে দিল বলে বিলাপ করে কাঁদছিলেন সুফিয়া খাতুন। বলছিলেন আমরা ফের নিঃস্ব হয়ে গেলাম। জানা গেছে, টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি ইউনিয়নের সব বাড়িঘর। টর্নেডোর আঘাত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।এছাড়াও এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় টর্নেডো আঘাত হানে। সরেজমিনে দেখা যায়, টর্নেডোর আঘাতে ওই তিনটি ওয়ার্ডে অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, সেমিপাকা ভবন, দোকানপাট, সীমানাপ্রাচীর, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা ভেঙে পড়ে লন্ডভন্ড করে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর কয়েক দিনের মধ্যে আবার টর্নেডো আঘাত হানল এসব এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত টেকনাফ মধ্যম জালিয়াপাড়ার গৃহবধূ খুরশিদা খাতুন বলেন, আমাদের সবকিছু শেষ করে দিল। স্থানীয় লোকজন জানান, মোরার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকারিভাবে মাত্র ১০ কেজি চাল ছাড়া আর কোনো ত্রাণসহায়তা পাননি তাঁরা। আজ এ টর্নেডো প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিটেরও কম সময়ের আঘাতে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা, ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড করে গেছে।
ঘরবাড়ির চালা, গাছপালা ও টিন পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে দুপুরের পর থেকে পৌরসভা কাজ করছে। টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, টর্নেডোর আঘাতে তিনটি খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছপালা পড়ে অর্ধশতাধিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেগুলো মেরামতের জন্য লোকজন পাঠানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম জাতিরকন্ঠ কে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। টর্নেডোর আঘাতে তিনটি ওয়ার্ডে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যাতে দ্রুত ত্রাণসহায়তা পায়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।