মোদী সরকার হঠাতে মুম্বাই ডন দাউদের টোপ: হিন্দু নেতা মারো দ.আফ্রিকায় চাকরি!
মিরা নায়ার : গুজরাত দাঙ্গায় যুক্ত এবং মুসলিম-বিরোধী হিন্দু নেতাদের খুন করলেই মিলবে মোটা টাকা। সেই সঙ্গে ভাল চাকরি মিলবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ডি-কোম্পানিতে নিয়োগের জন্য এমনই লোভনীয় টোপ দিয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম। সম্প্রতি এই তথ্য উঠে এসেছে গুজরাতের ভারুচ জোড়া খুনের মামলায় দেওয়া এনআইএ-র চার্জশিটে।গত বছর দোসরা নভেম্বর ভারুচের বিজেপি সভাপতি শিরিশ বঙ্গলি এবং স্থানীয় যুব মোর্টা নেতা প্রাগনেশ মিস্ত্রিকে গুলি করে খুন করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। সেই ঘটনায় ১০ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত শনিবার বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু হিন্দু নেতাদের খুনের ছকই নয়, ভারতের নানা প্রান্তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিপাকে ফেলার পরিকল্পনাও নিয়েছেন দাউদ। এনআইএ-র দাবি, মদের খালি বোতলে পেট্রোল বোমা বানিয়ে তা দিয়ে চার্চে হামলার নির্দেশও দিয়েছিলেন ডি-কোম্পানির মাথারা।এনআইএ জানাচ্ছে, পরিকল্পনা মতো দুবাই থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে গুজরাতে ৫০ লক্ষ টাকা পাঠান দাউদ ঘনিষ্ঠ জাভেদ পটেল ওরফে চিকনা। মুম্বই এবং সুরাত থেকে বন্দুকের ব্যবস্থাও করে দেন জাভেদ। বঙ্গালি এবং মিস্ত্রিকে খুনের আগে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তদের।
জোড়া হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ১০ জন হলেন: আবিদ পটেল (জাভেদ পটেলের ভাই), সইদ ইমরান, জুহেব আনসারি, ইনায়ত পটেল, মদম্মদ ইউনুস, হায়দর আলি, নিসারভাই শেখ, মহসিন খান পাঠান, মহম্মদ আলতাফ শেখ এবং আবদুল সালিম। এনআইএ জানাচ্ছে, জাভেদ পটেল এবং ডি-কোম্পানির আর এক সিনিয়র মেম্বার জাহিদ মিয়াঁ অভিযুক্তদের অনেকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন।
জাহিদ কাজ করেন মূলত দক্ষিণ আফ্রিকায়। জাভেদ আর জাহিদ এঁদের হিট লিস্ট তৈরি করতে বলেছিলেন। ১৫ জনের প্রাথমিক হিট লিস্ট তৈরিও হয়ে গিয়েছিল। তালিকায় নাম থাকাদের প্রায় সকলেই গুজরাতের বিজেপি, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের স্থানীয় নেতা।