মোদীর হেলিকপ্টারে ধর্ষক রাম
দিল্লী থেকে মীরা নায়ার : ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির ভিভিআইপি কপ্টারে চড়ে জেলের আদালতে নেয়া হয়েছে ধর্ষক রাম রহিমকে। সিবিআই জানায়, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় যে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার পাঁচকোলার বিশেষ সিবিআই আদালত ধর্মগুরু গুরমিতকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর তাকে ‘এ ডব্লিউ–১৩৯’ নামের একটি হেলিকপ্টারে উড়িয়ে রোহতক জেলার সুনারিয়া কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড কোম্পানির এই হেলিকপ্টারটি ভিভিআইপিরা ব্যবহার করে থাকেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় এই হেলিকপ্টারে করেই প্রচারণা চালিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পর গুরমিতকে কারাগারে নিতে সেই হেলিকপ্টার বরাদ্দ করায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
কিভাবে এটি ধর্ষণগুরুকে বরাদ্দ করা হলো তা খতিয়ে দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এছাড়া আসামিকে কারাগারে নেয়ার সময় তার সঙ্গে পুলিশ ছাড়া আর কারও সঙ্গে থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু ওই হেলিকপ্টারে ধর্মগুরু গুরমিতের মেয়ে হানিপ্রীতকে দেখা গেছে। এনিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ডেরা সাচ্চা সৌধা নামের ধর্মীয় সংস্থার প্রধান ধর্মগুরু ৫০ বছর বয়সী গুরমিত রাম রহিম সিং। হরিয়ানার সিরসা জেলায় সাতশ’ একর জায়গা জুড়ে সংস্থাটির সদর দফতর অবস্থিত। এখানে থাকা নারী শিষ্য ও সেবিকাদের গুরমিত নিয়মিত ধর্ষণ করে থাকেন বলে ২০০২ সালে অভিযোগ করেন এক নারী শিষ্য।
ওই নারী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে চিঠি লিখে এ অভিযোগের কথা জানান। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তদন্ত সংস্থা এ ঘটনার তদন্ত নেমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়।পরে ওই নারী শিষ্য ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ১৫ বছর পর সেই মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। সোমবার তার দণ্ড ঘোষণা করা হবে।