মেয়ের স্কুলে কেঁদে ফেললেন ওবামা
আনন্দবাজার অবলম্বনে আসমা খন্দকার : বড় মেয়ের স্কুলের পাট চুকেছে সদ্যই। সপ্তাহখানেক আগে তার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়ে চোখে জল এসে গিয়েছিল বাবার। শুধু মেয়েটা বড় হয়ে গেল ভেবে নয়। দেশের মহিলাদের জন্য একটা ‘ব্যতিক্রমী সময়ে’ তাঁর মেয়েও বেড়ে উঠল, এই চিন্তা থেকেই কেঁদে ফেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আর কয়েক মাস পরেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন হিলারি ক্লিন্টন। তিনি যদি নির্বাচিত হন, তা হলে আমেরিকা পাবে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট। সেই কথা মাথায় রেখেই ওবামার এই ভাবনা।
হোয়াইট হাউসে মহিলাদের নিয়ে একটি সম্মেলনে ওবামা বলেন, আপনারা কেউ কেউ হয়তো শুনেছেন গত শুক্রবার আমার বড় মেয়ে মালিয়ার হাইস্কুলের পর্ব শেষ হয়েছে। আমি ওর সমাবর্তনে কালো চশমা পরে পিছনের সারিতে বসেছিলাম। ওই সময় কান্না এসে যায় আমার। গলা বুজে আসছিল। কান্না চাপতে গিয়ে একটা অদ্ভুত শব্দ হয়। তাতে সবাই পিছন ফিরে আমার দিকে তাকান!
ওয়াশিংটনে সিডওয়েল ফ্রেন্ডস স্কুল থেকে পাশ করেছে সপ্তদশী মালিয়া। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার আগে এক বছরের জন্য নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখবে সে। পরের বছর যাবে হার্ভার্ডে। ছোট বোন সাশার স্কুল শেষ হতে বাকি এখনও দু’বছর। তাই প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সাশার জন্য ওয়াশিংটনেই আরও দু’বছর কাটাতে হবে ওবামা পরিবারকে।
কিন্তু ওদের বাবা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে প্রথম দিন মালিয়া-সাশা যখন স্কুল গেল, সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন গাড়িতে পিছু নিয়েছে দেখে ওদের একটু ‘কেমন কেমন’ লাগছিল!
অনুষ্ঠানে সে কথা মনে করালেন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও। কিন্তু তার পরে ওদের পাশে থেকে নিয়মিত সময় দিতে দিতে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে সব কিছু। আর এখন এক মেয়ের স্কুল শেষ আর অন্যটির স্কুল শেষের পথে ওরা বড় হয়ে ভাল মানুষ হবে, এই অপেক্ষাতেই রয়েছেন ওবামা দম্পতি।