‘মেয়েরা হাঁটুর উপরে শাড়ি উঠিয়ে চললে মন চায় সুইসাইড করি’
নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি : নিজের এলাকার রাস্তার দুরবস্থার কথা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা সেলিম ওসমান।তিনি বলেন, ‘আমি একজন সংসদ সদস্য। কিন্তু যখন দেখি পুরুষরা ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় লুঙ্গি উঠিয়ে হাটছে আর মেয়েরা হাঁটুর উপরে শাড়ি উঠিয়ে চলাফেরা করছে, তখন মন চায়- আমি সুইসাইড (আত্মহত্যা) করি।’
সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমি দেখছি- রাস্তা ঘাটের কাজ শুরু হয়ে আর শেষ হয় না। বিদেশী টাকা আসে ঠিকই, কিন্তু কাজে ধীর গতি। উন্নয়নের দায়িত্ব আমার একার নয়, এটা আপনাদের (জনগণের) দায়িত্ব, এই দায়িত্ব ব্যালটের দায়িত্ব।’
সোমবার বন্দরের চৌরাপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও কাঙালি ভোজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা নীতিগতভাবে যাতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে উপযুক্ত নেতা বানাতে পারেন, যার নামে কোনো বদনাম নেই, পুরুষ-মহিলা বলে কোনো বদনাম হবে না এবং পত্রপত্রিকায় লেখা লেখি হবে না, আমরা অনেক যাচাই-বাছাই করে সেই নেতা ঠিক করেছি।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার ভাই (মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি) উপযুক্ত। আমরা দুটি ভাই জান-প্রাণ দিয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘এটাই হয়তো আমাদের জীবনের শেষ নির্বাচন। ওসমান পরিবারের রাজনীতি হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যাবে, যদি আপনাদের সন্তুষ্ট করতে না পারি। আমি রাজনীতি করতে আসিনি। আপনারা আমাকে গোলাম বানিয়েছেন। আমি কে আমি নিজেও জানি না।’
সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কাজ করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আনোয়ার ভাইকে নিয়ে এসেছি। আনোয়ার ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোনো ভেদাভেদ নেই; উনি আমার রাজনৈতিক গুরু।জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বা আওয়ামী লীগ বুঝি না; ইউপি নির্বাচনের মত উনার জন্য আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি টেন্ডারবাজি করতে চান? আপনারা কি কন্ট্রাক্টরি করতে চান? নাকি এলাকার উন্নয়ন চান? ভবিষ্যত প্রজন্ম ভালভাবে থাকুক এটা চাইলে আর রাস্তায় আরামে চলাফেরা করতে চাইলে আনোয়ার ভাইকে ভোট দিন।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, জাতীয় পার্টির নেতা রোটারিয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, এমএ রশিদ, শাহ আলম, আবেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবু আল মুজাহিদ পলু, শাহজাহান মোল্লা, হুমায়ুন কবির মৃধা প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।