‘মেয়েরা-পুরুষ সঙ্গীর যত্ন নাও’
ডেস্ক রিপোর্টার : ‘মেয়েরা-পুরুষ সঙ্গীর যত্ন নাও’ ইনস্টাগ্রামে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এর এই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেন তিনি বললেন এই কথা? ভালবাসার আবেদনে সম্প্রতি সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ‘১৫৬ বছরের নিপীড়ন’ থেকে রামধনু পতাকাকে মুক্ত করে জানিয়ে দিয়েছে, সমকামিতা অপরাধ নয়।সেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে গোটা দেশ। প্রকাশ্যে মতামত জানিয়েছেন সেলেবরা। বলিউড তো বটেই, টলিউডও মেতেছে রামধনু রঙে। স্বমেজাজেই এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
স্বস্তিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘মেয়েরা এটা ২০১৮। ঠিক মতো করে তোমার পুরুষ সঙ্গীর যত্ন নাও। না হলে অন্য কোনও পুরুষ তার যত্ন নিতে শুরু করবে…।’স্বস্তিকার এই টুইট নিয়ে অবশ্য দ্বিধাবিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া। তিনি রায়ের পক্ষে না বিপক্ষে তা স্পষ্ট নয়। কারও মতে, মত জানাতে গিয়ে কি কিছুটা ব্যঙ্গ করে ফেললেন না অভিনেত্রী? কেউ আবার বলছেন, শুধু মেয়েদের উদ্দেশে কেন এমন টুইট?
ব্রিটিশ আমলে তৈরি ১৮৬১ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় সমকামী যৌন সম্পর্ককে অপরাধের তকমা দেওয়া হয়েছিল। একে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ৩৭৭ ধারা সমকামীদের সমানাধিকারে ধাক্কা দিচ্ছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমি যা, আমি তা-ই। আমাকে সে ভাবেই গ্রহণ করতে হবে।’’ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের সদস্যরা
চারটি পৃথক রায়ে একই সুরে লিখেছেন, যৌন পছন্দ মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তাই তার ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা সংবিধানের ১৪তম অনুচ্ছেদের (নাগরিকদের সমানাধিকার ও আইনি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকে) বিরোধী। বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র বলেন, ‘‘বছরের পর বছর সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কাছে ইতিহাসের ক্ষমাপ্রার্থনার দায় থেকে যায়।’’