• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মেয়রের কুলাংগার পিএসের অপকান্ড-


প্রকাশিত: ১:০২ এএম, ১৩ মে ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার

স্টাফ রিপোর্টার : নরসিংদীর মনোহরদী পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মাছুম হাসান শুভর বিরুদ্ধে নবদম্পতিকে আটক করে মারধর ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় ভোক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত মাছুম হাসান শুভকে আটক করে। রাতেই ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদ ধ্রুব বাদী হয়ে শুভসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া পর শুক্রবার মামলাটি নথিভুক্ত করে আসামি শুভকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন। অভিযুক্ত মাছুম হাসান শুভ মনোহরদী শহর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনের ব্যক্তিগত সহকারী।
জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের বায়োজিদ এলাকার মৃত আবুল বাশারের ছেলে হারুনুর রশিদ ধ্রুব ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সহকারী পোগ্রাম প্রডিউসার হিসেবে কর্মরত। ৩ বছর পূর্বে তিনি গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের বারাব গ্রামের পুলিশ সদস্য হারুনুর রশিদের মেয়ে রেশমা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকার ফার্মগেটে বসবাস করেন।

হারুনুর রশিদ ধ্রুব জানান, তিনি গত বুধবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গাজীপুরের কাপাশিয়ায় বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রীর জন্য থ্রীপিছ কিনতে ভগ্নিপতি মোসাদ্দেকের সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে মনোহরদী বাজারে যান। সেখান থেকে দুপুর ৩টার দিকে অটোরিক্সায় গ্যাস ভর্তি করতে তারা আনোয়ার সিএনজি স্টেশনে যায়। গ্যাস ভর্তি শেষে সিএনজি স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় অতর্কিত ৭ থেকে ৮ জন যুবক তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় বিভিন্ন অশ্লীল বাক্যবান ও নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পৌর মেয়রের পিএস শুভ এসে তাদেরকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। প্রশ্নের উত্তর দিতে আপত্তি করায় ধ্রুবের স্ত্রী রেশমার গালে থাপ্পর মারে সে। ওই সময় হামলাকারীরা রেশমার গলায় পরিহিত সোনার চেইন ও ধ্রুবের হাতের দুটি সোনার আংটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

প্রকাশ্যে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও ভয়ে উপস্থিত কেউ এগিয়ে আসেনি। উল্টো হামলাকারীরা তাদেরকে বিয়ের কাবিন না দেখালে যেতে দিবে না বলে সিএনজি স্টেশনের একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে মোবাইলে কাবিনের ছবি দেখালে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ দূরে গিয়ে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা নাম্বার ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশি সহযোগীতা চান। এরপর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

হারুনুর রশিদ ধ্রুব বলেন, আমি জীবনে এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে কখনোই পরিনি। ওই সময়টুকু এখনো মনে হলে আমি আতকে উঠি। তারা আমার সামনে আমার স্ত্রীর গালে থাপ্পড় দিয়েছে। স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

জানতে চাইলে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে সিসিটিভি পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।