শফিক আজিজি.ঢাকা:
পার্মিট ছাড়া মদ ও বিয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও অধিক মুনাফা আদায়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে
ফতুল্লার পাগলায় বুড়িগঙ্গা নদীতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর আওতাধীন ‘মেরি এন্ডারসন’ নামের ভাসমান রেস্তোরার পরিচালক । মেরি এন্ডারসনে পার্মিট ছাড়া মদ ও বিয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও অধিক মুনাফা আদায়ের লক্ষ্যে বাহিরের লোকদের কাছে বীরদ্বর্পে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ফতুল্লা,শহর ও তার আশ পাশের জেলার মদপানকারীদের জন্য অন্যতম একটি নিরাপদ স্থান হলো পাগলায় মেরি এন্ডারসন।
অন্য কোথাও মদ পাওয়া না গেলেও এখানে টাকা হলেই মিলে বিদেশী মদ, বিয়ার সহ সবকিছু। রেস্তোরারের আশেপাশে নদীতে নোঙ্গর করা স্পিডবোট কিংবা অন্য নৌকাতেও রয়েছে খুপড়ি ঘর যেখানে চলে মদ পানের সঙ্গে রঙ্গলীলা। নোঙ্গর করা স্পিডবোট’র পরিচালনা করার জন্য লোক রয়েছে। তাদের সাথে গোপনীয় ভাবে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কট্রাক করতে হয়। তবে সরকার অনুমোদিত ‘মেরি এন্ডারসন ভাসমান রেস্তোরায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না । এখানে মদ বিক্রি করছে বীরদ্বর্পে।
কর্তৃপক্ষ নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে মদ ও বিয়ার প্রকাশ্যে বিক্রি করছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অথচ পার্মিট ছাড়া ব্যক্তির কাছে মদ বিক্রি নিষেধ থাকা সত্বেও স্কুল,কলেজ পড়–য়া ছাত্রসহ সাধারন লোকদের কাছে মদ বিক্রি করছে। তারা ঐখানে বসে মদ পান করছে আবার কেউ নিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ থাকায় গত বেশ কয়েক দিন আগে প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালানোর পর কিছু দিন বন্ধ থাকা পর আবার চালু হয়েছে প্রকাশ্যে মদ বিয়ার বিক্রি।
এদিকে পাগলা মেরি এন্ডারসন একটি পর্যটন এলাকা হিসাবে মানুষ মনে করলেও এখানে ভাসমান রেস্তোরায় সাধারন খাবারের সঙ্গে মদ আর বিয়ার পান করাটা চলছে ওপেন সিক্রেট। আবার কেউবা দামী গাড়ি হাকিয়ে এখানে এসে মদ,বিয়ার নিয়ে যায় সঙ্গে করে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে প্রকাশ্যে সরকারের অনুমোদন ছাড়া মদ বিক্রি ও পানাহার চললেও প্রশাসন থাকে নিরব।