• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মেধাবী ছাত্র তাওহীদ বলির পরও–সিলেট ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি চলছেই


প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ১২ জুন ১৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৯ বার

soumen3-660x330---------------সুলতান আহমদ সুমন: সিলেট অফিস ১২ জুন ২০১৪:

সিলেট ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির বলি মেধাবী ছাত্র তাওহীদ নিহত হওয়ার পরও ঘাতকরা এখনও ঘুরছে। ধরা পড়েনি ১৫ সদস্যর চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।ওসমানি মেডিকেলে পড়তে এসে ছাত্রলীগ নেতারা এখন চাঁদাবাজ সর্দার।
সিলেট মেট্রোপলিটন কোর্টের ম্যাজিষ্ট্র্রেট মো. শাহেদুল করিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন সৌমেন দে। সে জানান, ‘আমরা তাওহীদুল ইসলামের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছিলাম। সে পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিল। বাকি দেড় লক্ষ টাকা কথামতো না দেয়ায় তাকে ডেকে এনে পিটানোর পর সে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ তাওহীদ হত্যা মামলায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের ১০নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ থাকলেও সৈমেন দে’র দেয়া জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডে জড়িত ১৫জনের নাম আসে।কিন্তু রহস্যজনক করণে এরা এখনও ধরা পড়ছেনা।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করতে হলে ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে হয়। শাসকদলের এ সংগঠনের চাঁদাবজি ওপেন সিক্রেট হলেও নিরব ভুমিকা পালন করতেন দল, সরকার ও কর্তৃপক্ষ। আর এ কারনেই ঘটে গেল তাওহীদের মত মেধাবী ছাত্রের নির্মম হত্যাকান্ড। কলেজ ছাত্রলীগের গ্রেফতার হওয়া সভাপতি সৈমেন দে’ অবলীলায় তা স্বীকার করে নিলেন। রবিবার বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন কোর্টের ম্যাজিষ্ট্র্রেট মো. শাহেদুল করিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য দেন সৌমেন দে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ছাত্রলীগ সভাপতি সৈমেন দে’ আদালতকে জানান, ‘আমরা তাওহীদুল ইসলামের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছিলাম। সে পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিল। বাকি দেড় লক্ষ টাকা কথামতো না দেয়ায় তাকে ডেকে এনে পিটানোর পর সে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ তাওহীদ হত্যা মামলায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের ১০নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ থাকলেও সৈমেন দে’র দেয়া জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডে জড়িত ১৫জনের নাম আসে ।

তারা হচ্ছে, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সৌমেন দে’, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশফেকুজ্জামান আকন্দ রাফি, হাফিজুর রহমান, ফারহান আনজুম পাঠান, অন্তর দ্বীপ, শরিফুল ইসলাম, জহুর রায়হান রিপন, আবু সাহাল ফাহিম, জুবায়ের ইবনে খায়েজসহ আরো ৫জনের। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এজাহার বহির্ভুত অপর ৫জনের নাম প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করে।
উলে¬খ্য, গত ৪জুন বুধবার বিকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবুসিনা ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে নিয়ে কলেজ ছাত্রদলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামকে পিঠিয়ে হত্যা করে কলেজ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পরদিন ৫জুন বৃহস্পতিবার নিহতের চাচা আনোয়ার হোসেন মাতব্বর বাদি হয়ে ছাত্রলীগ ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার ১০ নেতাকর্মীর নাম উলে¬খ করে অজ্ঞাত আরো ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামী সৈমেন দে’কে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। কলেজ থেকে বহিস্কার করায় অন্যরা আত্মগোপনে চলে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।