• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের বারোটা- লসের খাতায় ৫৩ কোটি টাকা


প্রকাশিত: ৯:৩১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার


লাবণ্য চৌধুরী : লসের খাতায় ৫৩ কোটি টাকা পড়ে মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের বারোটা বাজার অবস্থা দাড়িয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জীবন বিমা কোম্পানি মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে অস্তিত্ব সংকটে পড়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং, পদ্মা ব্যাংক ও পিপলস লিজিংয়ে বিনিয়োগ করা প্রায় ৫৩ কোটি টাকা যেন লসের খাতায় পড়ে যাচ্ছে! কারণ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও পিপলস লিজিং থেকে সুদ প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠান দুটিতে প্রায় ৩ কোটি টাকার সুদ বাকি পড়েছে। বলতে গেলে ওই সুদ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠান দুটি।তবে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে ঝুঁকি তৈরী হয়েছে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিতে মোট ৫৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এফডিআর করা হয়েছে। ওই তালিকায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং ও পদ্মা ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। যেগুলোর অবস্থা খুবই শোচণীয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে ২৭ কোটি ৮ লাখ টাকা, পদ্মা ব্যাংকে ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা, পিপলস লিজিংয়ে ৭ কোটি টাকা ও প্রিমিয়ার লিজিংয়ে ৩ কোটি টাকা এফডিআর বা বিনিয়োগ করেছে। যে কোম্পানিগুলো ব্যবসা টিকিয়ে রাখার শঙ্কায় রয়েছে।

ওই বিনিয়োগের বিপরীতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও পিপলস লিজিং থেকে সুদ প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে। যাতে করে প্রতিষ্ঠান দুটিতে প্রায় ৩ কোটি টাকার সুদ জমা হয়েছে। এই অবস্থায় মেঘনা লাইফ কর্তৃপক্ষ তাদের এফডিআর উত্তোলনে চিঠি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা লাইফের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এরমধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০.৫৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭.৭৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১.৬৭ শতাংশ শেয়ার।