• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

মেঘনায় মিয়ার চরে যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত


প্রকাশিত: ৬:৪৯ পিএম, ৬ মার্চ ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৪ বার

বরিশাল.জেলা প্রতিনিধি  :  বরিশালের হিজলা উপজেলার সংলগ্ন মেঘনা নদীর মিয়ার চর পয়েন্টে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন 1নিহত হয়েছেন। গত শনিবার দিবারাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী এমভি জহিদ-৪ এবং বরগুনা থেকে ঢাকাগামী এমভি কিং সম্রাট লঞ্চের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত ওই পরিবারের আরেক সদস্য নাসরিন আক্তারকে (১৫) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে ঢাকার খিলগাঁও পশ্চিম নন্দি বড় বটতলা এলাকায় নিহত ৩ জনের নামাজে জানাজা শেষে দাফনের জন্য তাদের মরদেহ সড়ক পথে গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলি ইউনিয়নের বাইনসমেত গ্রামে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের ঘনিষ্ট আত্মীয় দেলোয়ার হোসেন। দুর্ঘটনার পর দুই লঞ্চ কর্তৃপক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও তিনি জানান।

দেলোয়ার আরও জানান, ওই গ্রামের মো. মিজান স্ব-পরিবারে ঢাকার খিলগাঁও পশ্চিম নন্দি বড় বটতলা এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে। মিজান ঠেলাগাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। মিজানের বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালনের জন্য পরিবারের সদস্যরা গ্রামে গিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠান শেষে শনিবার বিকেলে তারা বরগুনা থেকে কিং সম্রাট লঞ্চে ঢাকায় ফিরছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্থ কিং সম্রাট লঞ্চের সুপারভাইজার জাকির হোসেন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেঘনা নদীর হিজলা সংলগ্ন মিয়ারচর অতিক্রমকালে বিপরীতমুখি এমভি জহিদ-৪ লঞ্চটি তাদের লঞ্চের বরাবর আঘাত করে। এতে তাদের লঞ্চটি ডুবে যাওয়া উপক্রম হয় এবং লঞ্চটির মাঝ বরাবর ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এতে যাত্রীদের মধ্যে তাড়াহুড়ি শুরু হয়। দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় কিং সম্রাট লঞ্চের ডেক শ্রেণীর যাত্রী তাছলিমা বেগম (৪০) ও তার ছোট মেয়ে জান্নাত (৬) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পথে তাছলিমার বড় ছেলে হিরণের (১৯) মৃত্যু হয়। তাছলিমার অপর মেয়ে নাসরিনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার জাতিরকন্ঠকে জানান, মেঘনা নদীর যে পয়েন্টে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি বরিশালের সীমানার বাইরে। রবিবার ভোরে ক্ষতিগ্রস্থ লঞ্চটি ঢাকা নদী বন্দরে পৌঁছার পর বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্থ লঞ্চটি পরিদর্শন করেছেন। তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তাদের দেয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।