মৃত্যুর আগে ‘জঙ্গি নথিপত্র’ ল্যাপটপসহ ১২ লাখ টাকাও ধ্বংস করেছে জঙ্গিরা
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও আলামতের ভিত্তিতে দেখা গেছে, আশকোনায় জঙ্গিরা নব্য জেএমবির সদস্য এবং তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।
সাংবাদিকদের মনিরুল বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ১৯টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছি। জঙ্গি
আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং পিস্তল, ম্যাগাজিনসহ তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা ১২ লাখ টাকা, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন নথিপত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।’
আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় প্রাপ্ত বিস্ফোরক আজ রোববার বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সিআইডি ক্রাইম স্ক্যান টিম বেলা ১১টায় আশকোনার সূর্য্য ভিলার জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকালের অভিযানে নিহত জঙ্গি হাবীব কাদরী ওরফে আরিফ কাদরীর মরদেহ আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।শনিবার ভোররাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ, সোয়াট টিম ও পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা ঢাকার দক্ষিণখান থানার পূর্ব আশকোনার ৫০ নম্বর সূর্য্য ভিলার ওই জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে রাখেন।
পরে দুপুর ১২টার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াট ও ডিএমপি বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা চূড়ান্ত অভিযান শুরু করেন। ওই সময় ভবনের ভেতরে থাকা একজন নারী জঙ্গি সদস্য তাঁর কোমরে থাকা সুইসাইডাল ভেল্টের বিস্ফোরণ ঘটালে তিনি মারা যান। এ সময় পাশে থাকা সাবিনা (৪) নামে এক শিশু আহত হয়। এ ছাড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে অপর এক কিশোর নিহত হয়। এর আগে ওই দিন সকালে অভিযান শুরু হলে দুই শিশু ও দুই নারী পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।