মূসক কমাও-উত্তাল ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা-২ নভেম্বর ধর্মঘট
বিশেষ প্রতিনিধি : মূসক কমানোর দাবীতে-উত্তাল ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা ২ নভেম্বর ধর্মঘট ডেকেছেন। মূসক কমানোর দাবিতে মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের সামনে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমানোর দাবিতে আগামী ২ নভেম্বর ঢাকায় পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। আজ রোববার মতিঝিলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম।
সমাবেশে আগামী ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগরের সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটি। বিভিন্ন পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির নেতারা ব্যানার নিয়ে এতে অংশ নেন। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব জানান, আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করলে লাগাতার ধর্মঘট পালন করা হবে।
সমাবেশে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সভাপতি আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হেলালউদ্দিনসহ কয়েকজন পরিচালক বক্তব্য দেন। মূসক কমানোর দাবিতে মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের সামনে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ।
চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগে থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্যাকেজ মূসকব্যবস্থা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মূসক আইন বাস্তবায়ন এক বছর পিছিয়ে দেন। বাজেটে প্যাকেজ মূসকের ব্যবস্থা রাখা হয়, তবে লেনদেনসীমা বেঁধে দেওয়া হয় ৮০ লাখ টাকা। অন্যদিকে প্যাকেজ মূসকের সর্বনিম্ন হার ১৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৮ হাজার টাকা করা হয়।
ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের দাবি, লেনদেনসীমা ৮০ লাখ টাকায় বেঁধে দেওয়ার কারণে প্যাকেজ মূসকে থাকা ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ হারাবেন। বাজেটের পর দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে ফোরাম প্যাকেজ মূসকের ক্ষেত্রে লেনদেনসীমা বাড়ানোসহ আরও কিছু দাবি জানায়। তারা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি অংশীদারত্ব সংলাপ আয়োজনের অনুরোধও জানিয়েছিল। অবশ্য এ ধরনের কোনো সংলাপ হয়নি।