মুস্তাফিজের বোলিং জাদুর চাপে নাস্তানাবুদ কলকাতার বিদায়
প্রিয়া রহমান : এবার সাকিববিহীন কলকাতা দেখল মুস্তাফিজের জাদু।১৭তম ওভারে মুস্তাফিজ দেখালেন তার আসল জাদুর স্পেলটি ।তখন ৪ ওভারে ৪৭ রান প্রয়োজন কলকাতার। এরপর মুস্তাফিজের কাটার, ইয়র্কার, স্লোয়ারে বিভ্রান্ত ব্যাটসম্যানরা একরকম নাস্তানাবুদ-।ফলে দুই ওভারে নিতে পারলেন মাত্র ১৪ রান। মুস্তাফিজের সৃষ্টি করা সেই চাপেই ডুবল কলকাতা।
মুস্তাফিজুর রহমান ম্যাচের আকর্ষণ কমে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের দল ঘোষণার পরই। ‘এলিমিনেটর’ নাম হলেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে তো এটি ছিল ‘সাকিব-মুস্তাফিজের’ ম্যাচ। কিন্তু দুই দলের বাঁচা-মরার ম্যাচে কলকাতা দলেই জায়গা হলো না সাকিবের।
সাকিবের দলও ২২ রানে হেরে গেল মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। পরশু কোয়ালিফায়ারে গুজরাট লায়নসের সঙ্গে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবেন মুস্তাফিজরা।
৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। মনে হতেই পারে সাদামাটা এবং কিছুটা খরুচে বোলিং। কিন্তু পরিসংখ্যানের কী সাধ্য মুস্তাফিজের বোলিং বোঝায়! তাঁর দ্বিতীয় ওভারটিকে ভালো বলা যাবে না কোনোভাবেই, ১১ রান দিয়েছেন ওই ওভারে। কিন্তু তার আগে পরে যা করেছেন তাতেই তো হেরে গেল কলকাতা।
প্রথম ওভারটি করেছেন পাওয়ার প্লের ষষ্ঠ ওভারে। ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ৫ ওভারে ৪৩ রান করে তখন রীতিমতো উড়ছিল কলকাতা। মুস্তাফিজের ওভারে এল মাত্র ৩ রান, বাধ পড়ল কলকাতার রান উৎসবে।তৃতীয় স্পেলে ফিরলেন ১৭তম ওভারে। ৪ ওভারে ৪৭ রান প্রয়োজন কলকাতার। হাতে আছে ৫ উইকেট।
গতকাল রাতের এবি ডি ভিলিয়ার্স অভিজ্ঞতার পর খুব সহজ এক লক্ষ্য বলেই মনে হচ্ছিল সেটা। কিন্তু তখনই যে এলেন মুস্তাফিজ। ইয়র্কার, স্লোয়ারে বিভ্রান্ত ব্যাটসম্যানরা দুই ওভারে নিতে পারলেন মাত্র ১৪ রান। মুস্তাফিজের সৃষ্টি করা চাপ দারুণ কাজে লাগালেন অপর প্রান্তে দারুণ বল করা ভুবনেশ্বর কুমার।
টস জিতে কলকাতা ফিল্ডিং নেওয়ায় মুস্তাফিজের বোলিং জাদু দেখার জন্য অপেক্ষাটা বেড়েছে মাঝরাত পর্যন্ত। সাকিবের বদলে জায়গা পাওয়া মরনে মরকেলই প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করে।
ডেভিড ওয়ার্নার ও ময়জেস হেনরিকেসের ৫৯ রানের জুটি বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল হায়দরাবাদকে। তখনই কুলদীপ যাদবের জোড়া ধাক্কা, পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দেন ওয়ার্নার ও হেনরিকেসকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে হায়দরাবাদ।
তারপরও যে দল ১৬২ রান করতে পারল, সেটির কৃতিত্ব যুবরাজ সিং ও বিপুল শর্মার। ৩০ বলে ৪৪ রান করে দলকে দেড় শ রানের কাছাকাছি নিয়ে গেছেন যুবরাজ। আর শেষ ওভারে দুটি ছক্কায় দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছেন শর্মা।