মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে চাই-ওআইসিভুক্ত রাষ্ট্রদূতদের প্রধানমন্ত্রী
কূটনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যেরও ডাক দেন।বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ওআইসিভুক্ত ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন তিনি।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদানের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে।ফিলিস্তিন ও গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চলমান হামলা ও এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশসহ ওআইসির অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থান ও করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ফিলিস্তিনের জন্য জরুরি ওষুধ সামগ্রী পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন পথে ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠানো হবে এখনো সেটা ক্লিয়ার না। তবে আমরা পাঠাবো। এছাড়া আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া পড়ানো হবে।তিনি আরও বলেন, সমস্যার মূল যে কারণগুলো রয়েছে, এগুলো বের করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একটা সমাধানের পথ বের করতে হবে। তার জন্য দরকার মুসলিম উম্মাহর ঐক্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা ওআইসিভুক্ত ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা হলেন- সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান কাতারের রাষ্ট্রদূত আলি মাহদি সাঈদ আল-কাহতানি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুতালিব সুলিমান, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন। এছাড়া আরও অংশ নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স মোহামাদ আল দারাজি, ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স রাদেন উসমান ইফেন্দি, মিশরের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি, ওমানের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ফাতিহা আল বুলুশি।
বর্তমানে ওআইসির সদস্য দেশ ৫৭টি। জাতিসংঘের পর সবচেয়ে বড় আন্তদেশীয় জোট এটি। প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এ জোট।এর আগে ফিলিস্তিনের গাজার আল-হিলাল ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলায় হতাহত হাজারো মানুষকে জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে ফোন করে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই।