বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: মুসলমান-হিন্দু গভীর প্রেম-তাজমহলে মরতে গিয়ে বাঁচিয়ে দিল ভাগ্যদেবী । কথায় বলে ভালোবাসা নাকি স্বর্গ হতে আসে। এই ভালোবাসা কোনো কিছুর ধার ধারে না। ছাড়িয়ে যায় ধর্ম, বর্ণ, সমাজ সবকিছু। এমনই ভালোবেসেছিলেন রাজবীর ও শবনম। কিন্তু দুজনের কারও পরিবারই মেনে নেয়নি এ সম্পর্ক। কারণ একজন মুসলমান আরেকজন হিন্দু।
এই অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে কোনো বিরোধ নয়; বেছে নিলেন আত্মহননের পথ। আর সে জন্য স্থান নির্বাচন করেছেন প্রেমের ঐতিহাসিক নিদর্শন তাজমহল। ভাগ্যদেবীর সহায়তায় বেঁচে গেছেন দুজনই। এখন শুয়ে আছেন হাসপাতালের বিছানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার।
ভারতীয় এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ২৫ বছরের রাজবীর সিং ও ১৮ বছরের শবনম আলী ব্লেড দিয়ে নিজেদের গলা কাটেন। দুজনের গলাতেই এখন ভারী ব্যান্ডেজ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখন শঙ্কামুক্ত।
এদিন বিকেলে রাজবীর ও শবনব তাজমহলের তাজ নেচার ওয়াকে দেখা করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই বাগানের কর্মীরা দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাঁরা একে অপরের হাত ধরেছিলেন বলে একজন জানান। পরে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রাজবীরের কিছুটা চেতনা ছিল। হাসপাতালেই পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনার বিবরণ দেন তিনি।
রাজবীর জানান, শবনম একটি একাডেমিতে নাচ শেখায়। তাঁদের পরিচয় ১২ বছরের। শুরুতে তারা খুব ভালো বন্ধু ছিল। দুজনের ধর্ম আলাদা হলেও ধীরে ধীরে তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেন। শবনমের পরিবার এ ঘটনা জানার পর রাজবীরকে ছেড়ে দিতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু গোপনে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।
রাজবীর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি ও শবনম দুজনেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। আমাদের অভিভাবকদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা রাজি হননি। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আমরা এ পথ বেছে নিয়েছি।’