মুশফিকের জন্যে কান্না..
স্পোর্টস রিপোর্টার : মুশফিকের জন্যে কান্না চলে এলো রহিমা খাতুন এর। একেই বলে মা।ঘটনাস্থল মিরপুর স্টেডিয়াম। ঘটনাটি ঘটেছে আজ এই স্টেডিয়ামে। একেবারে মায়ের চোখের সামনে? বেন স্টোকসের ধেয়ে আসা বাউন্সারটা লাগল একেবারে মুশফিকুর রহিমের হেলমেটের পেছনে।
মাটিতে পড়ে গেলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাই দ্রুত ফিজিওকে আসার ইঙ্গিত দিলেন। দৌড়ে ঢুকলেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও।
খানিক পরে ইংল্যান্ডের ফিজিও। স্ট্রেচার হাতে ফায়ার ব্রিগেডের দুই সদস্যও। খানিক পরে মুশফিক নিজেই উঠে দাঁড়ালেন।
দুশ্চিন্তার মেঘটা সরে গেল তাতে। দর্শকেরা অধিনায়ককে অনুপ্রাণিত করলেন তুমুল করতালিতে।
কিন্তু বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের ঠিক পেছনের গ্যালারিতে বসা রহিমা খাতুনের দুশ্চিন্তা দূর হয়নি তখনো। বুকে হাত দিয়ে গ্যালারির বড় পর্দায় তাকিয়ে তিনি, সেখানে যে একটু ভালো বোঝা যায় ছবিটা। কেঁদেই দিলেন এক সময়। পাশে থাকা মাহবুব হামিদ অবশ্য প্রবোধ দিতে থাকেন তাঁকে।
তবুও তাঁর চিন্তা দূর হয় না। মায়ের মন তো! মায়েরা তো এমনই!
মুশফিকের মা রহিমা খাতুন বারবার ইঙ্গিত করে দেখাতে থাকেন কোথায় আঘাতটা লেগেছে। মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ অবশ্য অভয় দেন, ‘আরে নাহ!
কিছু হয়নি। আমি খোঁজ নিয়েছি, ওর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। গুরুতর কিছু নয়।
মুশফিকের বাবা গ্যালারিতে নিয়মিত মুখ হলেও তাঁর মা তেমন আসেন না।
হয়তো ছেলের ৫০তম টেস্ট বলেই মাঠে বসেই দেখতে চেয়েছেন আজ।
ছেলে অল্প রানে ফিরেছে। দলও ভালো করেনি। কিন্তু তাঁর দুশ্চিন্তার কেন্দ্রে ছিল হয়তো শুধুই ছেলে। মায়ের কাছে সন্তানের সুস্থতা, ভালো থাকার কাছে বাকি সবকিছুই তো তুচ্ছ!
এ ঘটনার ১১ বছর আগে লর্ডসেই টেস্ট অভিষেকে ম্যাথু হগার্ডের বাউন্সারে এমন আঘাত পেয়েছিলেন মুশফিক।
মুশফিকের সংশয় যখন কেটে যাচ্ছে ক্রমেই তখন দুজনের মুখে ভর করছে আরেক চিন্তা—প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
শেষ ৪৯ রানেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৯ উইকেট। অল আউট ২২০ রানে।তবে মুশফিক পরে গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়ালেন।
দারুণ রিফ্লেক্সে একটা ক্যাচ নিয়ে শুরুতে ইংল্যান্ডকে ধাক্কাও দিলেন। মায়ের মুখে এবার হাসি ফুটে উঠল…।