মুরগির ডিমে মানুষের বীর্য-অতঃপর বেরিয়ে এলো-ভয়ঙ্কর হোমানকিউলাস
ডেস্ক রিপোর্টার : এই অবস্থায় ডিম সমেত কৌটোটিকে ৪০ দিন রেখে দেওয়া হয়েছিল। এ বার থলি ও কৌটো খুলে ডিমটিকে বার করা হচ্ছে। তার পর ডিমটিকে ফাটানো হচ্ছে। আর তার পরেই ঘটছে এক অপ্রত্যাশিত ও ভয়াবহ ঘটনা। দেখা যাচ্ছে, ডিমের কুসুমের সঙ্গে একটি সাদা রঙের অদ্ভুত জিনিস বেরিয়ে এসেছে।
এ কোন জীব বেরিয়ে এলো ডিম থেকে!
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় কত কিছুই যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে! সম্প্রতি যেমন এক আজব এক্সপেরিমেন্টের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিও-তে এক ব্যক্তিকে নিজের বীর্য একটি মুরগির ডিমে ইনজেক্ট করতে দেখা গিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, তার পরিণামে জন্ম নিচ্ছে এক ভয়াবহ জীব।
কী রয়েছে এই ভিডিও-এ? ক্যামেরার সামনে যিনি রয়েছেন, তাঁর মুখ একবারের জন্যও দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, তাঁর দু’টি হাত এবং শোনা যাচ্ছে তাঁর কণ্ঠ। রাশিয়ান ভাষায় কথা বলে চলেছেন তিনি। তিনি জানাচ্ছেন, একটি ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জে তিনি নিজের বীর্য গ্রহণ করেছেন। এ বার দেখা যাচ্ছে, একটি মুরগির ডিমের খোলাটির উপরের অংশটি তিনি তুলে ফেলেছেন। তার পর সিরিঞ্জের সূচটি দিয়ে সিরিঞ্জের বীর্য তিনি প্রবিষ্ট করাচ্ছেন ডিমের ভিতরে। এ বার সেলোটেপ দিয়ে ডিমের গায়ের ছিদ্রটি বন্ধ করে ডিমটি রেখে দিচ্ছেন একটি প্লাস্টিকের কৌটোর ভিতরে। তার পর কৌটোটি রেখে দিচ্ছেন একটি পশমের থলির মধ্যে। থলির মুখ বন্ধ করে কৌটোটি তুলে রাখা হচ্ছে।
দাবি করা হচ্ছে, এই অবস্থায় ডিম সমেত কৌটোটিকে ৪০ দিন রেখে দেওয়া হয়েছিল। এ বার থলি ও কৌটো খুলে ডিমটিকে বার করা হচ্ছে। তার পর ডিমটিকে ফাটানো হচ্ছে। আর তার পরেই ঘটছে এক অপ্রত্যাশিত ও ভয়াবহ ঘটনা। দেখা যাচ্ছে, ডিমের কুসুমের সঙ্গে একটি সাদা রঙের অদ্ভুত জিনিস বেরিয়ে এসেছে। একটি চিমটেতে করে জিনিসটি তুলে ধরতেই বোঝা যাচ্ছে, জিনিসটি জীবন্ত প্রাণীর মতো নড়ছে। সবাইকে চমকে দিয়ে ভিডিও-র মানুষটি দাবি করছেন, এ হল হোমানকিউলাস, অর্থাৎ ক্ষুদ্রাকার মানুষ। মুরগির ডিমে নিজের বীর্য ইনজেক্ট করার পরিণামে তৈরি হয়েছে ক্ষুদ্রাকার মানুষ।
এই ভিডিও-তে যে দাবি করা হচ্ছে, সেই দাবির বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই বললেই চলে। মুরগির ডিমে মানুষের বীর্য কখনওই ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ— কোনও মানুষেরই জন্ম দিতে পারে না। কিন্তু এই ভিডিওতে যে মানুষটিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি দাবি করছেন তিনি প্যারাসেলসাস-এর ফর্মুলার আংশিক অনুসরণ করছেন। প্যারাসেলসাস ছিলেন ষোড়শ শতকের সুইস-জার্মান অ্যালকেমিস্ট। তিনি হোমানকিউলাস তৈরির এক অদ্ভুত কৌশলের কথা জানিয়েছিলেন তাঁর লেখায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, মানুষের পরিশোধিত বীর্য যদি স্ত্রী-ঘোড়ার গর্ভে প্রবিষ্ট করানো হয়, তা হলে প্রায় ৪০ দিনের মাথায় হোমানকিউলাস জন্ম নেয়। কিন্তু এই নবজাত মানুষের শরীরটা হয় স্বচ্ছ। এবং এই ধরনের মানুষ স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় আকারে অনেক ছোট হয়। চল্লিশ সপ্তাহ যদি যত্ন সহকারে এই ক্ষুদ্র মানুষকে মানুষেরই রক্তের অ্যারকানাম খাওয়ানো হয়, তা হলে সে স্বাভাবিক মানুষের মতো শরীর প্রাপ্ত হয়।
‘ফোর চ্যান’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম আপলোড হওয়া এই ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, প্যারাসেলসাস নির্দেশিত ফর্মুলারই ঈষৎ পরিবর্তিত রূপ অনুসরণ করা হয়েছে এখানে। যদিও অ্যালকেমিক ওই ফর্মুলাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান, তবুও কিছু মানুষের মধ্যে এখনও দানা বেঁধে রয়েছে প্রাগাধুনিক কিছু বিশ্বাস। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, ডিমের ভিতর থেকে তো স্পষ্টই একটি উদ্ভট জীবকে বেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। জীবটিকে নড়াচড়া করতেও দেখা যাচ্ছে। তা হলে আর সন্দেহ কোথায়? যদিও ভিডিও-তে করা দাবিগুলির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্বাসীর মন অতো সন্দেহপ্রবণ নয়। তাঁরা নিশ্চিন্তে শেয়ার করে চলেছেন এই ভাইরাল ভিডিও।
দেখুন এই সেই ভিডিও:-
Как сделать гомункула (Homunculus)