• বুধবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মুখোমুখি ইসি-উপদেষ্টা ‘মেয়র ইশরাক আ’লীগ আমলের স্বীকৃতি কিনা’


প্রকাশিত: ৮:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫ বার

 

আসিফ নজরুলকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এর জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এভাবে যারা মামলা করে বা প্লেইন্ড পরিবর্তন করে বিজয়ী হতে চাচ্ছে এটা তাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন, ইশরাক সাহেব নাকি পরবর্তী সময়ে প্লেইন্ড পরিবর্তন করেছিলেন।

 

বিশেষ প্রতিনিধি : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে ইসি-উপদেষ্টা। অবস্থা দৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, কোথাও কোনো মতের অমিল বা আগ বাড়িয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের আগে এই বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শও চেয়েছিল ইসি। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামত দেওয়ার আগেই অনেকটা তাড়াহুড়ো করে রোববার রাতেই গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখানেই সমস্যা। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা।

এদিকে এভাবে মেয়র ঘোষণা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আমলের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো কিনা— এমন প্রশ্নও উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এর জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এভাবে যারা মামলা করে বা প্লেইন্ড পরিবর্তন করে বিজয়ী হতে চাচ্ছে এটা তাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন।

তিনি বলেন, ইশরাক সাহেব নাকি পরবর্তী সময়ে প্লেইন্ড পরিবর্তন করেছিলেন। সেজন্য আমরা দ্বিধান্বিত ছিলাম এটা কি গেজেট নোটিফিকেশন হবে নাকি আপিল করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন আমাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করেনি। ওনারা নিজেরা গেজেট নোটিফিকেশন করেছেন। এখানে আমার বলার কিছু নাই।সোমবার (২৮ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তো আসলে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আমাদের মতামত জানার প্রয়োজন ছিল না। এজন্য তাদের সিদ্ধান্ত তাদেরই নেওয়ার কথা। আমাদের কাছে যখন মতামত নিতে পাঠিয়েছিলেন তখন আমরা সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। এতে আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচনি যে প্লেইন্ড আছে, সেটা নাকি পরিবর্তন করা যায় না। কারণ সেখানে নাকি হাইকোর্টের রায় রয়েছে।

এদিকে অভিনেতা ইরেশ জাকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, এ মামলাগুলো বাণিজ্যিক বা বিদ্বেষমূলক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আইনে কোথাও মামলা করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয় নাই। যে যার মতো করে মামলা করতে পারে। এখানে অনেক হয়রানিমূলক, বিদ্বেষমূলক মামলা হচ্ছে। অন্যের জায়গা জমি দখল, ব্যবসা দখলের জন্য মামলা হচ্ছে। এগুলো অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। মামলা হওয়ার পর আমরা পুলিশ প্রশাসন ও আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকার দেওয়ার প্রচেষ্টা করছি। এখন এতো মামলা হচ্ছে, এতে আমাদের জন্য কাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মামলা করতে আমরা কাউকে বাধা দিতে পারি না, তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বার বার বলা হচ্ছে অভিযোগের সুনির্দিষ্টতা পাওয়া না গেলে কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়। আমরাও আদালতের মাধ্যমে আইনগত প্রতিকার দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইরেশ জাকেরসহ কিছু কিছু মামলা হয়েছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো যারা মামলা করেছে তাদের খুঁজে বের করে সবার সামনে উন্মোচন করেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আরো কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করছি। প্রয়োজনের আইনগত পরিবর্তন আনতে হলে চেষ্টা করবো।