• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতদের গোমর ফাঁস


প্রকাশিত: ৫:৫৬ পিএম, ১০ আগস্ট ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার

 

শফিক আজিজি ঢাকা fredomমুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতরা অবশেষে ধরা পড়ছে। জালিয়াতদের গোমর ফাঁস করে দিয়েছে স্বয়ং বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সনদ জালিয়াতদের সহযোগীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার এই জালিয়াতদের প্রকাশ্য শুনানী হবে সংশ্লিষ্ঠদের নিজ নিজ থানা সদরে।
এদিকে ৩১ জন সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলে আজ রোববার বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ভুল ব্যাখ্যা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে নেওয়ায় যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, চিকিত্সক, তিন প্রকৌশলীসহ ৩১ জন সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এনিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৮২ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ বাতিল করল। মন্ত্রণালয় গত বুধবার এ-সংক্রান্ত নথিপত্র অনুমোদন করে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কমিটির ওয়েবসাইটে জমা আছে এমন এক লাখ দুই হাজার ৫০১টি আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সবার সামনে আবেদনপত্র যাচাই করবে।

যাঁদের সনদ বাতিল: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (এপিডি উইংয়ে ন্যস্ত) এম মাহবুব উল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবদুল হামিদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও প্রকল্প পরিচালক এস এম সেলিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, সড়ক ও জনপথের উপসহকারী প্রকৌশলী কে এম আবুল হোসেন।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ কে এম আতাউল ইসলাম, যশোরের চিকিত্সক মৃণাল কান্তি মিত্র (স্থান উল্লেখ নেই) এবং কাস্টমস হাউসের তিন রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল কবির, মোস্তাক আহমেদ ও নিলুফা সুলতানা। গাজীপুরের কাপাসিয়া খাদ্যগুদামের খাদ্য পরিদর্শক আবদুল মালেক, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাবরক্ষক আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান সহকারী খান সিরাজুল ইসলাম ও নিরাপত্তা পরিদর্শক ফয়েজ কবির।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এস এম আলাউদ্দিন, গাজীপুরের সাব-রেজিস্ট্রার তৌফিক এলাহী, মাদারীপুরের নরেরকান্দা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফ, সাতক্ষীরার দক্ষিণ শাহপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন মোড়ল, মান্দার সহকারী শিক্ষক আফাছ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক নিরঞ্জন কুমার রায়, বিএডিসির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মনীষা রঞ্জন রায়, সহকারী কৃষি সম্প্র্রসারণ কর্মকর্তা আসাদউজ্জামান, সিলেট জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের প্রধান সহকারী মো. মাসুদুল হক, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ও টালি করণিক আবদুল রউফ সরকার, চট্টগ্রামের ওয়ালী আহমেদ ও ঝিনাইদহের হাফিজুর রহমান।
টাঙ্গাইলের সরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমান, নওগাঁর বাদরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্র নাথ সাহা ও চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-৩-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক আলমগীর কবীর চৌধুরী (অবসর)।