• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

মীর কাসেমের ফাঁসির ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে যেভাবে..


প্রকাশিত: ৩:৪৪ এএম, ৩১ আগস্ট ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৬ বার

মোস্তফা কামাল প্রধান   :  একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউয়ের 1পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে লাল কাপড়ে মোড়ানো রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছে দেন কেন্দ্রীয় কারাগারের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জাতিরকন্ঠকে বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে মীর কাসেম আলীর রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারের আইন গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফেরদৌসসহ চার সদস্যের একটি দল কঠোর নিরাপত্তায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২তে এই কপি পৌঁছে দেয়।

বুধবার সকালে নিয়ম অনুযায়ী মীর কাসেম আলীকে রায় পড়ে শোনানো হবে। এরপর তার কাছে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চাইলে তিনি সময় পাবেন।

আর প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করলে সরকার এই আলবদর নেতার 0000009যে কোনো সময় ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা করতে পারবে। কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে।

এরআগে মঙ্গলবার সকালে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রিভিউয়ের রায় ঘোষণা করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর দুটি অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ৮ মার্চ আপিল বিভাগ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসীম উদ্দিন হত্যা সংক্রান্ত একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।পরে বিকালে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে মীর কাসেম আলীর রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগ।

বেঞ্চের অন্য বিচারকরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।সন্ধ্যায় রায়ের কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যায়। সেখান থেকে রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এছাড়া আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও রায়ের কপি পাঠানো হয়।কাশিমপুর কারাগারে বন্দি মীর কাসেম আলী অবশ্য সকালেই রায়  শোনেন রেডিওর মাধ্যমে। রায় শোনার পর তাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।

গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে ৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন।২০১৪ সালের আগে তিনি কারাগারে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে কনডেম সেলে পাঠানো হয়।