মীর কাশেমের ফাঁসির জন্য প্রস্তুত জল্লাদ শাহজাহান
কাশিমপুর থেকে সাইফুল বারী মাসুম/মোস্তফা কামাল প্রধান : মীর কাসেম আলীর ফাঁসির আদেশ তামিল করতে প্রস্তুুত হয়ে আছেন প্রধান জল্লাদ শাহজাহান ভুঁইয়া। তাকে সহায়তা করবেন রাজু, পল্টু কামালসহ আরো চার জল্লাদ। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জল্লাদদের কাসিমপুর হাইসিকিউটি কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এ নেয়া হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের পদক্ষেপ হিসেবে কারা বিধি অনুযায়ী স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন এবং কারা মহাপরিদর্শকের কাছে অবহিতকরণ চিঠি পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে মীর কাসেমের গ্রামের বাড়িতে। কারাগারে পৌঁছেছে জল্লাদরাও।
লাল খামে ভরে শনিবার সকাল ১১টায় বিশেষ কারা বার্তাবাহকের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়। কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।এদিকে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল কবির দুপুর দেড়টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেছেন। তিনি ফাঁসির প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারা সূত্র আরো জানায়, মঙ্গলবার আপিল রিভিউর আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর রায়ের কপি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ঐদিনই তার মুত্যৃ পরোয়ানা জারি করা হয়। লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে রাত পৌনে একটায় কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।
বুধবার সকালে কারা কর্তৃপক্ষ মীর কাসেম আলীকে রায় খারিজ এবং মৃত্যু পরোয়ানা জারির খবর জানায়। শুক্রবার বিকেলে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন না জানালে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে কারা কর্তৃপক্ষ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও মীর কাসেম আলীর মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় পরিবারকে চিঠি পাঠিয়ে অবহিত করা হয়।