• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

মির কাশেমের ছেলে আরমান কথিত লাপাত্তা’ না চালবাজি!


প্রকাশিত: ৭:৫২ পিএম, ২৪ আগস্ট ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬৭ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  এবার MirAhmedbinQuashem.www.jatirkhantha.com.bdমির কাশেমের ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান কথিত লাপাত্তার ধোঁয়া তুলেছেন তার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।তিনি আজরিভিউ আবেদন শুনানীকালে আদালতে একথা বলেন। এ সম্পর্কে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা 1বলা হলে তাঁরা এটাকে মির কাশেমের নয়া চালবাজি বলে অভিহিত করেছেন।

মীর কাসেমের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন দাবি করেছেন,  এই মামলার জুনিয়র আইনজীবী মীর কাসেমের ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমানকে কয়েকদিন আগে 8সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে কোথাও আছে তা আমরা জানতে পারিনি। তার কাছে এই মামলার যাবতীয় নথিপত্র ছিলো।

মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনঃবিবেচনা চেয়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ পিটিশননের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। সময় আবেদন নাকোচ করে দিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবীকে শুনানি শুরুর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এরপরই মীর কাসেমের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসনে শুনানি শুরু করেন।

শুমানি শুরুর পরই আগামী রবিবার পর্যন্ত তা মুলতবি ঘোষণা করা হয়। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় ৫ নম্বর ক্রমিকে মীর কাসেমের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।

গত ২৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রিভিউ শুনানি এক মাস পিছিয়ে দিয়ে ২৪ আগস্ট দিন ধার্য করে দেয়। ঐ সময় আদালত বলেছিল, এরপর আর কোন সময় দেয়া হবে না।

শুনানি মুলতবির আবেদন প্রসঙ্গে মীর কাসেমের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, এই মামলার জুনিয়র আইনজীবী মীর কাসেমের ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমানকে কয়েকদিন আগে সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে কোথাও আছে তা আমরা জানতে পারিনি। তার কাছে এই মামলার যাবতীয় নথিপত্র ছিলো।

এমনকি আপিল বিভাগের রায় পুনঃবির্বেচনা চেয়ে যে রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে সেটিও তার কাছে ছিলো। সাদা পোশাকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার বাসা তালাবদ্ধ। পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে কারাগারে পাঠালে হয়ত কারাকর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তার সঙ্গে মামলার বিষয়ে পরামর্শ করা যেত। কিন্তু সেই সুযোগও নেই। ফলে রিভিউ শুনানির জন্য কোন প্রস্তুতি নিতে পারিনি। এজন্য সময় চাওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। গত ৮ মার্চ আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের ওই মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে। গত পহেলা জুন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। এরপরই ওই রায় পুনঃবির্বেচনা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মীর কাসেম।