• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মির্জাপুরে প্রবাসি জাহাঙ্গিরের প্রতিহিংসা-আগুন লাগিয়ে তিন মেয়েসহ মাকে হত্যা!


প্রকাশিত: ১১:০৪ পিএম, ৭ অক্টোবর ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৬ বার

 

 TTTTTTTTTTTTস্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাসি জাহাঙ্গিরের প্রতিহিংসায় আগুনে পুড়ে মা ও তিন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজন হলো প্রবাসী মুজিবর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩৫) এবং তাঁর তিন মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী মনিরা আক্তার (১৪), বাকপ্রতিবন্ধী মীম আক্তার (১১) ও নার্সারির ছাত্রী মলি আক্তার (৭)।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিন মেয়েসহ হাসনা বেগম নিজ বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে চারটার দিকে বিকট শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, ঘরের বাইরের দিকে আগুন জ্বলছে। বালু ও পানি দিয়ে বাইরের আগুন নেভানোর পর তাঁরা দেখতে পান, কক্ষের দরজা ভেতর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আজ দুর্বৃত্তদের লাগানো আগুনে দগ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ ফিতা দিয়ে ঘরটি ঘিরে রাখে। ছবি: প্রথম আলোবাইরে থেকে আটকানো। এরপর তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, চারজনের দগ্ধ লাশ বিছানায় পড়ে আছে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, ওই কক্ষের বাইরে বেড়া দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ওই কক্ষের খোলা জানালা দিয়েও ঘরে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী। প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে হাসনা বেগমের বিরোধ চলছিল বলে তাঁরা দাবি করেন। সিঙ্গাপুরপ্রবাসী জাহাঙ্গীর এখন দেশে অবস্থান করছেন এবং ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের রিকশাচালক আলী হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) পঙ্কজ চন্দ্র রায়  বলেন, দাহ্য পদার্থের সাহায্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পেট্রল বহনকারী প্লাস্টিকের দুটো ড্রামের ঢাকনা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ড্রাম দুটো জাহাঙ্গীরের রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। জাহাঙ্গীরকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।